বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন

গাড়ির নাম্বার প্লেট ও কাগজপত্র উধাও

নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে সরকারি গাড়ি

মেহেদী হাসান আকন্দ,নেত্রকোণা

প্রকাশিত:
৯ আগষ্ট ২০২৩, ১৬:৩৫

সরকারি গাড়ি বলে কথা। অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে তবুও নির্দেশনা না পেলে বিক্রি করা যাবেনা। এমনকি মেরামত করে ব্যবহারেরও কোনো উপায় নেই। নির্দেশনার অপেক্ষায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের ভেতর পড়ে থাকা ৫টি সরকারি গাড়ি মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। অব্যবহৃত গাড়ি বিক্রয় না করায় সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিনে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনের সামনে ৪ টি এ্যাম্বুলেন্স মাটি চাঁপা অবস্থায় পড়ে আছে এবং নার্সিং ইনস্টিটিউট এর সামনে ১ টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১ টি জিপ গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেট খুলে নেয়া হয়েছে এবং অধিকাংশ গাড়ির ভিতরের যন্ত্রাংশ অদৃশ্য হয়ে গেছে। এভাবে সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হচ্ছে।

হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার প্রফুল্ল জানান, হাসপাতালে ২ টি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহৃত হচ্ছে। কোন এ্যাম্বুলেন্সেই নাম্বার প্লেট নাই। একটি প্রায় ৬/৭ বছর ধরে ব্যবহৃত হলেও এখন পর্যন্ত গাড়িতে নাম্বার প্লেট লাগানো হয়নি।

নেত্রকোণা নাসিং ইনস্ট্রিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ সাহিদা পারভীন বলেন, নার্সিং ইনস্টিটিউট এর কম্পাউন্ডের ভেতরে ১ টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১ টি জিপ গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে কিন্তু গাড়িগুলো কার তিনি তা জানেন না। তবে গাড়িগুলো নার্সিং ইনস্টিটিউট এর নয় বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু সাঈদ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, গাড়িগুলোর মধ্যে একটি মোহনগঞ্জ হাসপাতালের এবং বারহাট্টা হাসপাতালের। এই দুটি গাড়ির কাগজ অফিসে আছে। ৪টি গাড়ির কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। গাড়িগুলোর কাগজপত্র ও নাম্বার প্লেট অন্য কেউ ব্যবহার করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মেরামত কিম্বা বিক্রি করার উপায় না থাকায় গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, হাসপাতালের একটি অসাধু সিন্ডিকেট এ্যাম্বুলেন্স গুলো মেরামত না করে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে নষ্ট করছে অন্যদিকে পুরা হাসপাতাল জুড়ে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ষ্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে। হাসপাতালে রোগী আসলেই অধিকাংশ রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই সুযোগে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট রোগী পরিবহনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিঞা জানান, হাসপাতালে অব্যবহৃত সরকারি গাড়িগুলো তত্ত্বাবধায়ক যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে বিক্রি করলেই সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট হতো না। তাছাড়া উপজেলা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স জেলা সদর হাসপাতালে রাখার কথা নয়। পুরানো গাড়িগুলোর কাগজপত্র অবশ্যই তত্ত্বাবধায়কের কাছে থাকতে হবে। গাড়িগুলোর কাগজ ও নম্বর প্লেট ব্যবহার করে অন্য কেউ অপরাধে জড়িত হওয়ার তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে পাইভেট এ্যাম্বুলেন্স রাখার বিষয়ে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

 

 

 

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর