বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন
  • ১০ এসি বাস নিয়ে চালু হলো বিআরটি প্রকল্প

তেলের দাম বেড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১ আগষ্ট ২০২৩, ১৮:১১

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে।  সোমবার ( ৩১জুলাই ) তেলের দাম তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যের কাছাকাছি ওঠে। মঙ্গলবার (১ আগষ্ট ) সকালেও দাম কিছুটা বেড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, মূলত ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো সরবরাহ হ্রাস করার কারণে তেলের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তেলের চাহিদা বৃদ্ধির কারণেও দাম কিছুটা বাড়তি।

অয়েল প্রাইস ডট কমের তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (১ আগষ্ট )  সকালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অন্যতম মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮৫ দশমিক ৫৬ ডলার। এই দাম অক্টোবরের জন্য, তবে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম কিছুটা কমেছে—শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৫৩ ডলার।

চলতি বছর ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৮৮ দশমিক ৩১ ডলার, গত ৮ মার্চ তেলের দাম এই পর্যায়ে উঠেছিল।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্যাংকের বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা এ রকম, ‘আমাদের মতে, তেলের দাম ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠতে যাচ্ছে। এই সপ্তাহে ওপেকের বৈঠকে সৌদি আরব তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত আরও এক মাসের জন্য বাড়াতে পারে, সে কারণেই আমাদের মনে হচ্ছে, তেলের দাম বছরের চূড়ায় উঠতে যাচ্ছে।’

তেলের দাম বাড়াতে ওপেক কয়েক মাস ধরেই তেল উৎপাদন কমাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎসাহী সৌদি আরব, ওপেকের সিদ্ধান্তের বাইরেও তারা দিনে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করছে। আগস্ট পর্যন্ত তাদের তেলের উৎপাদন হ্রাস করার কথা ছিল। তবে আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে তারা সম্ভবত এই সিদ্ধান্তের মেয়াদ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে চায়।

চলতি বছরের জুনে ওপেক, রাশিয়াসহ সহযোগী দেশগুলো সিদ্ধান্ত নেয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত তেলের উৎপাদন হ্রাস করা হবে। তখন সৌদি আরব গত জুলাই পর্যন্ত নিজে থেকেই আরও ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ৩ জুলাইয়ের বৈঠকে তারা এটি আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে সৌদি আরব কথামতো উৎপাদন কমাতে পারেনি। জুলাইয়ে তারা ১০ লাখের পরিবর্তে ৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল পর্যন্ত উৎপাদন কমিয়েছে। ওপেকের সামগ্রিক উৎপাদন ৮ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল পর্যন্ত কমেছে, গত সোমবার রয়টার্সের এক জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত মে মাসে দেশটির তেলের চাহিদা দৈনিক ২ কোটি ৭ লাখ ব্যারেলে ওঠে, ২০১৯ সালের আগস্টের পর যা সর্বোচ্চ। এ ছাড়া দেশটিতে গ্যাসোলিনের চাহিদাও বেড়েছে। মে মাসে এই চাহিদা দৈনিক ৯১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে ওঠে, ২০২২ সালের জুনের পর যা সর্বোচ্চ।

গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসোলিনের মজুত কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, ২৮ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে মজুত প্রায় ৯ লাখ ব্যারেল কমেছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর