বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন
  • ১০ এসি বাস নিয়ে চালু হলো বিআরটি প্রকল্প

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও উন্নত করবে ‘তিস্তার সমাধান’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৯

বাংলাদেশের সঙ্গে ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত করতে’ তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি সুপারিশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। 

২৫ জুলাই সংসদের উভয় কক্ষ রাজ্যসভা, উচ্চকক্ষ ও লোকসভার নিম্নকক্ষে ‘ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন জমা দেন সব দলের আইনপ্রণেতাদের সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন বিজেপির পি পি চৌধুরী, কংগ্রেসের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি সংসদ সদস্য স্বপন দাসগুপ্তা এবং রাজ্যসভা ও লোকসভার ২৭ জন সংসদ সদস্য এ কমিটির সদস্য। 

সুপারিশ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা এবং এর ফলাফল কমিটিকে অবহিত করা হবে। তিনি জানান, আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতে আসবেন। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিস্তা প্রসঙ্গটির সমাধান হতে পারে।

জানা গেছে, সুপারিশকৃত প্রতিবেদনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি বিশেষ অধ্যায় রয়েছে। এতে বলা হয়, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যু সম্পর্কে কমিটি অবগত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে চায়। কমিটি এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত অর্থবহ সংলাপ শুরুর জন্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিচারাধীন বিরোধের বিষয়ে অগ্রগতি ও ফলাফল কমিটিকে অবহিত করতে পারে এবং এ ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রস্তাবিত নতুন উদ্যোগ ও অর্থবহ সংলাপের প্রস্তাব করা যেতে পারে।

তিস্তা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে কমিটি বলেছে, এ বিষয়ে ঐকমত্য হলেই তারা চুক্তিস্বাক্ষর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমিটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে- যোগাযোগ, নিরাপত্তা, পানি-ভাগাভাগি এবং শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে চলমান সহযোগিতা ছাড়াও পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা, মহাকাশ সহযোগিতা এবং নতুন প্রযুক্তিগুলো প্রতিবেশী প্রথম নীতির অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কমিটি আশা করে যে, সরকার এ ক্ষেত্রগুলোতে নতুন পারস্পরিক লাভজনক উদ্যোগ নিয়ে আসবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য এটি বাস্তবায়ন করবে। 

কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চারটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টসহ ৩৬টি স্থল শুল্ক স্টেশনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও মানুষ চলাচল করে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর