বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • টিউলিপের চিঠি পেয়েছি
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনের মামলা
  • ৭টায় ম্যাচ, ২টার আগেই স্টেডিয়ামের বাইরে যেন জনসমুদ্র
  • অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯
  • কৃষক সেজে ধানখেত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরল পুলিশ
  • ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৭৪৭
  • লন্ডনে তারেকের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে
  • কেরালায় সিঙ্গাপুরের জাহাজে আগুন এখনো জ্বলছে, নিখোঁজ ৪
  • ক্যাটরিনা কাইফকে মালদ্বীপের ‘পর্যটন দূত’ ঘোষণা
  • ঈদের পর সবজি ও মুরগির বাজার চড়া

এত অমিলের মধ্যেও ব্যক্তিজীবনে অদ্ভুত মিল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৫, ১৪:৫৩

ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে দলাদলি, মতপার্থক্য ও চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন আছে, তেমনি আছে কিছু অভিন্ন বৈশিষ্ট্য। এমনই একটি মিল দেখা যায় দেশটির তিন শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—নরেন্দ্র মোদি, রাহুল গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—এর মধ্যে। তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তারা সবাই সঙ্গীহীন বা অবিবাহিত।

নরেন্দ্র মোদি, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ নেতা এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। গুজরাটের এক ছোট শহরে জন্ম নেওয়া মোদি কৈশোরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর আদর্শে দীক্ষিত হন। যৌবনে তার বিয়ে হলেও, রাজনৈতিক দায়িত্বের কারণে তিনি সংসার জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তার মতে, জাতির সেবা হলো তার প্রধান শপথ, এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বিবাহিত জীবনের দায়িত্ব একসাথে পালন করা কঠিন।

রাহুল গান্ধী, ভারতের ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেস পরিবারের সন্তান। তার দাদি ইন্দিরা গান্ধী ও পিতা রাজীব গান্ধী দুজনেই হত্যার শিকার হন, যার ফলে রাজনৈতিক দায়িত্বের চাপে তার ব্যক্তিগত জীবন অনেকটাই উপেক্ষিত থেকে যায়। জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাকে বিয়ে ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, তার সারা জীবন রাজনীতির সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। জনসেবার প্রতি তার দায়বদ্ধতা এতটাই দৃঢ় যে, তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছেন। তার মতে, জনসেবা ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত কঠিন, তাই তিনি জনগণের কল্যাণেই নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এই তিন নেতার জীবন আলাদা হলেও, একটি বিষয়ে তারা একমত—জনসেবার জন্য নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে বিসর্জন দেওয়া যায়। ভারতে বহু রাজনীতিক আছেন যারা সংসার ত্যাগ করে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন, কিন্তু মোদি, রাহুল ও মমতা—তাদের একক জীবনকে জনগণের সেবায় রূপান্তর করে তুলেছেন এক অনন্য


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর