প্রকাশিত:
৩ জুন ২০২৫, ১৬:৩০
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–কে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান মুহা. নুরুল ইসলাম সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি ভেবে থাকেন আন্দোলন থেমে গেছে, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের। এর আগে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা সচিবালয়ের বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এই সমাবেশে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা বক্তব্য দেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, ঈদ সামনে তাই আগামীকাল কর্মসূচি রাখিনি। যদি এই আইন বাতিল না করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে শুধু কর্মবিরতি নয়, অবস্থান কর্মসূচিও দিতে পারি। দরকার হলে সারা দেশে ডিসি অফিস, বিভাগীয়সহ সমগ্র বাংলাদেশে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেব। ১৫ জুনের মধ্যে ভালো সংবাদ না পেলে নেতারা বসে কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
ঐক্য ফোরামের আরেক কো চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর বলেন, কাল বুধবার যেহেতু অনেকেই বাড়ি যাবেন, সে কারণে আগামীকাল কোনো কর্মসূচি থাকবে না। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসেও কর্মসূচি থাকবে না। তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ জুন আপনারা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। কেউ যেন কর্মস্থলে না থাকেন, সবাই বেলা ১১টায় এখানে (সচিবালয়ের বাদামতলা) একত্র হয়ে উচ্চারণ করব, অবৈধ কালো আইন বাতিল কর, করতে হবে। মানি না মানব না।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে বাদীউল কবীর বলেন, এই অধ্যাদেশ যত দিন ছিল না তাতে কর্মপরিবেশের কী ক্ষতি হয়েছে? আর এটি প্রবর্তন হওয়ার ফলে কী লাভ হয়েছে? এই আইন করার ফলে সবার কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: