প্রকাশিত:
২ জুন ২০২৫, ১৪:৪৩
চলতি বছরের মে মাসে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৩৬৮টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। এ সংখ্যা গত এপ্রিল মাসের তুলনায় ৬টি বেশি। পূর্ববর্তী মাসে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩৬২টি।
‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন মে ২০২৫’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি এমএসএফ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করেছে এবং ৩১ মে গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের ঘটনা এ মাসে ৫৯টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৬টি এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ৫টি। ধর্ষণের শিকারদের মধ্যে ৬ জন প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী রয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ৫৯ জনের মধ্যে ১০ জন শিশু এবং ২১ জন কিশোরী। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭ জন কিশোরী ও ৯ জন নারী।
এ ছাড়া মে মাসে ৩১টি ধর্ষণচেষ্টা, ৪৭টি যৌন হয়রানি এবং ৬২টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ মাসে আত্মহত্যা করেছেন ২১ জন কিশোরী ও ২১ জন নারী, মোট ৪২ জন। একই সঙ্গে ৫ জন কিশোরী অপহরণের শিকার হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন নারী, ২ জন শিশু ও ২ জন কিশোরী।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায়ও উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। মে মাসে ১ জন শিশু, ৫ জন কিশোরী এবং ১০ জন নারীসহ মোট ১৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পুরো মাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮৬ জন নারী, কিশোরী ও শিশু। এর মধ্যে ১৯ জন ছিলেন শিশু ও কিশোরী।
এমএসএফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা—বিশেষ করে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও পারিবারিক সহিংসতা—একটি চলমান সংকট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যাশিত সক্রিয়তা ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। বিচারহীনতা এবং দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া এই সহিংসতাকে আরও জটিল করে তুলছে।
সংগঠনটি মনে করে, নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেবল আইনি পদক্ষেপ নয়, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও জরুরি।
মন্তব্য করুন: