প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৫, ১৬:৪৭
শরীর সুস্থ রাখতে সব ধরনের ভিটামিনই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে তা বেশ কিছু জটিল শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই ভিটামিনের অভাবে ক্লান্তি, পেশিতে টান, হাড়ে ব্যথা থেকে শুরু করে মন খারাপ বা মুড সুইংয়ের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনকি চুল পড়া, ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগা বা ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে।
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে জীবনযাপনে পরিবর্তনের পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খাওয়াও জরুরি। চলুন, জেনে নিই কোন খাবারগুলো উপকারী।
ডিম
প্রতিদিন একটি সিদ্ধ ডিম, বিশেষ করে কুসুমসহ খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি অনেকটাই কমে আসে। এটি উচ্চমানের প্রোটিনের উৎসও। ডিমের পোচ বা অমলেটের চেয়ে সিদ্ধ ডিম বেশি উপকারী।
কমলালেবু
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণে কমলালেবু বা তার রস খাওয়া যেতে পারে। তবে প্যাকেটজাত বা টিনজাত রস না খেয়ে ফ্রেশ ফল বা ঘরে তৈরি জুস বেছে নেওয়াই ভালো, কারণ দোকানের জুসে অতিরিক্ত চিনি ও সংরক্ষক থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
স্যামন ও টুনা মাছ
এই দুটি মাছ ভিটামিন ডি-এর চমৎকার উৎস। স্যামনে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা ‘হেলদি ফ্যাট’ হিসেবে পরিচিত। টুনা মাছেও রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন ডি। তাই সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকায় এই মাছ রাখলে উপকার পাবেন।
মাশরুম
যারা নিরামিষভোজী, তাদের জন্য মাশরুম হতে পারে ভিটামিন ডি-এর একটি প্রাকৃতিক উৎস। সূর্যের আলোতে বেড়ে ওঠা মাশরুমে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।
দুধ
প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়ার অভ্যাস শরীরে ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও পূরণ করতে সাহায্য করে। তবে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে দুধ এড়িয়ে চলা উচিত।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে শুধু হাড় বা পেশি নয়, সারা শরীর ও মনের ওপর তার প্রভাব পড়ে। তাই সময় থাকতেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রয়োজন হলে রক্ত পরীক্ষা করে ঘাটতির মাত্রা জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন: