প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৫, ১৬:১৪
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা হয়েছে। মামলায় আরো ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলা হয়েছে। মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে শনিবার (৩১ মে) মধ্যরাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, মজিবুল হক চুন্নু, সাইদুল ইসলাম ট্যাপা, রুহুল আমিন হাওলাদার, বেগম রত্না আমিন, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মহাসিনুল ইসলাম হাবুল, এস হাওলাদার, মুফতি আল মাহিস ও মাহমুদ সোহেল। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিনুল ইসলাম হাবুল বলেন, শনিবার বিকেলে আমাদের মিছিলে বিনা কারণে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। যারা হামলা চালিয়েছে আমরা তাদের চিনি না।
জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম সাগর সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি নিরীহ নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। বাংলাদেশে তাই জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই।
হামলার ঘটনায় পুলিশ আমাদের মামলা গ্রহণ করেছে। অনতিবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, হামলার অভিযোগে দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এজাহারে বলা হয়, শনিবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর সদর রোডের ফকির বাড়ি রোডে অবস্থানকালে জাতীয় পার্টির একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে সরকারবিরোধী ও গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় তাদের আপত্তিকর স্লোগান বন্ধ করতে অনুরোধ করা হলে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কিছু নেতাকর্মী লোহার রড, বাঁশ, ও ইট নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় গুরুতর আহত হন বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সাল, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মিরাজুল ইসলামসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আহতদের উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে ফকির বাড়ি রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ বের করেন জাতীয় পার্টির নেতারা। ওই মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফকির বাড়ি রোডের জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা কোতয়ালী থানায় গিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পুলিশ ওই বিক্ষোভের পর মামলা রুজু করে।
মন্তব্য করুন: