শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

যে কারণে তরুণরাই চায় ইন্টারনেটহীন পৃথিবী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ মে ২০২৫, ১৬:৩০

সোশ্যাল মিডিয়া এখন শুধু সময় কাটানোর মাধ্যম নয়, অনেক তরুণের জন্য এটি মানসিক চাপ ও আত্মবিশ্বাস হারানোর উৎসে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র প্রতি ১০ জন তরুণের ৭ জন (৬৮%) জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর পর তারা নিজেদের নিয়ে আরও খারাপ অনুভব করে।

বিশেষ করে ১৬ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে অর্ধেকই (৪৬%) এমন এক পৃথিবীতে থাকতে চায়, যেখানে ইন্টারনেটই নেই! খবরটি প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

জরিপের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো:

প্রতি চার তরুণের একজন প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায়। ৪২% তরুণ অনলাইনে কী করছে, তা তাদের পরিবার থেকে গোপন রাখে।

৪২% বয়স গোপন করেছে, ৪০% ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে, আর ২৭% পুরো ভিন্ন পরিচয়ে নিজেকে উপস্থাপন করেছে।

রাত ১০টার পর ডিজিটাল কারফিউ চালুর পক্ষে মত দিয়েছে ৫০% তরুণ। রাতের বেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার চিন্তা করছে যুক্তরাজ্য সরকার

জরিপের ফলাফলের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল জানিয়েছেন, টিকটক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপ রাতে ব্যবহারে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সরকার ভাবছে।

তবে শিশু সুরক্ষা সংস্থা NSPCC বলছে, শুধু রাতের ডিজিটাল কারফিউ যথেষ্ট নয়। এনএসপিসির অনলাইন নীতিমালা ব্যবস্থাপক রানি গোভেন্দর বলেন, "শিশুরা দিনের বেলাতেও অনলাইন ঝুঁকির মধ্যে থাকে। আসক্তিকর অ্যালগরিদম থেকে তাদের বাঁচাতে দরকার নিরাপদ ডিজাইন এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলতা।"

মহামারির সময় অনলাইন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পর ৭৫% তরুণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটায় ইন্টারনেটে। ৬৮% মনে করে অতিরিক্ত অনলাইন সময় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

মলি রোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বারোওস বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম এমন সব কনটেন্ট সামনে আনে, যা অনেক সময় অজান্তেই মানসিকভাবে বিপর্যয় ডেকে আনে। এটি আত্মবিশ্বাস, শরীরী ইমেজ, এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়াতে পারে।"

প্রযুক্তি যদি উপকার করতে পারে, তবে তা ক্ষতিও করতে পারে, এ সত্যকে সামনে এনে তরুণদের জন্য এখনই দরকার ভারসাম্যপূর্ণ ডিজিটাল জীবনের সচেতনতা ও সুরক্ষা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর