প্রকাশিত:
২০ মে ২০২৫, ১৬:৪৯
ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের ফলে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামানএ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার রাত ১০টায় চেল্লাখালী নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপরে। রাতেই তা কিছুটা কমলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও উজানে অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে আবারও পানি দ্রুত বাড়তে থাকে।
সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নীচু এলাকায় প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হতে পারে, যা জন-জীবন ও কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলার ৯৪ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “উজানের পানি ও বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। গত চার দিন ধারে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে, তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোণা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। সেই সঙ্গে এসব এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। চেল্লাখালীর পাশাপাশি ভোগাই নদী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মন্তব্য করুন: