প্রকাশিত:
২০ মে ২০২৫, ১৪:৪৭
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির একটি হাসপাতালে কমপক্ষে ৫৮টি অজ্ঞাত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, ঘনবসতিপূর্ণ আবু সালিম পাড়ার আবু সালিম অ্যাক্সিডেন্ট হাসপাতালের একটি মর্গের রেফ্রিজারেটরে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতি জানিয়েছে।
মৃতদেহের ছবি মন্ত্রণালয় পোস্ট করেছে। এতে বিভিন্ন পচনশীল লাশ হাসপাতালের বিছানায় দেখা যাচ্ছে। কিছু দেহাবশেষ পুড়ে গেছে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য তদন্ত চলছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত, ২৩টি মৃতদেহ পরীক্ষা করা হয়েছে। তথ্য নথিভুক্ত করা এবং নমুনা সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় সব আইন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,আবু সালিম ‘স্ট্যাবিলাইজেশন সাপোর্ট অ্যাপারেটাস’ নামে পরিচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আবাস্থল ছিল। গোষ্ঠীটির প্রধান আব্দুলঘানি কিকলি (যিনি ব্যাপকভাবে ঘানিওয়া নামে পরিচিত) গত সোমবার নিহত হন।
মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুলহামিদ আল-দ্বিবাহে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূলের নির্দেশ দেন। যার ফলে ত্রিপোলিতে দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বছরের পর বছর ধরে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। জাতিসংঘের মতে, এই সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
সোমবার পাওয়া মৃতদেহগুলো সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাওয়া অজ্ঞাত দেহাবশেষের দ্বিতীয় ব্যাচ। এর আগে শনিবার কর্মকর্তারা জানান, আবু সালিম পাড়ার আরেকটি এসএসএ-নিয়ন্ত্রিত আল-খাদরা হাসপাতালের একটি মর্গের রেফ্রিজারেটরে নয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিলিশিয়ারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৃতদেহগুলোকে বিষয়ে রিপোর্ট করেনি। দ্বিবাহ শনিবার বলেছেন, মিলিশিয়াদের নির্মূল করা একটি ‘চলমান প্রকল্প’।
জিএনইউ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে দেখা গেছে, বুলডোজারগুলো তথাকথিত ৭৭ ক্যাম্প ভেঙে ফেলছে, যা এসএসএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন বৃহত্তম স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। শিবিরটিকে একটি জাতীয় উদ্যানে রূপান্তরিত করা হবে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে লিবিয়ায় খুব একটা স্থিতিশীলতা ছিল না। ২০১৪ সালে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী পূর্ব এবং পশ্চিমা উপদলগুলোর মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়, যদিও ২০২০ সালে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বড় ধরনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
মন্তব্য করুন: