শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্বামীকে হত্যা করলো স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৭ মে ২০২৫, ১৩:৫৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের মাত্র আট দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হলেন স্বামী মেহেদী হাসান (২৭)। শুক্রবার (১৬ মে) মধ্যরাতে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান মৃত জলফু মিয়ার ছেলে। সে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৭) আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জান্নাত আক্তার। মেহেদি হাসানের পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। সে প্রায় ২০ বছর ধরে মাকে নিয়ে মসজিদপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদি হাসানের সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে নিহতের স্ত্রী বাড়ির মালিককে ডেকে বলে তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, জান্নাত আক্তারের বিয়ের আগ থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। সে তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ করছে নিহতের পরিবার।

নিহত মেহেদী হাসানের মা বকুল বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আট দিন হইছে আমার ছেলেরে বিয়ে করাইছে। বউয়ের অন্য ছেলের সাথে প্রেম ছিল। সে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। সরকারের কাছে ফাঁসি চাই।

নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরী করতো। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। তার স্ত্রী ৬টি ঘুমের টেবলেট খাইয়ে অচেতন করে স্বাশরোধ করে হত্যা করেছে। শুনেছি তার অন্য ছেলের সাথে প্রেম আছে।

জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আরও জানতে পেরেছি, বিয়ের আগে এক ছেলের সাথে জান্নাত আক্তারের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে সে তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না। গত রাতে স্বামীকে বলে তার ঘুম আসছে না বলে তাকে দিয়ে ঘুমের টেবলেট আনায়। পরে কোকের সাথে ৬টি ঘুমের টেবলেট খাইয়ে অচেতন করে। পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্বামীকে হত্যা করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর