প্রকাশিত:
১৪ মে ২০২৫, ১৫:২৬
আজ ১৪ মে কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান-এর প্রয়াণ দিবস। ১৯৯৮ সালে আজকের দিনে তিনি এই পৃথিবী থেকে চলে যান, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি ও চিন্তা আজও আমাদের হৃদয়ে জীবিত। শওকত ওসমান ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন, যিনি সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষের চিন্তা ও সমাজে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন।
শওকত ওসমান: সাহিত্যকর্ম ও সমাজসচেতনতা
শওকত ওসমানের সাহিত্যজীবন ছিল বহুপ্রকার প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের মতো। তাঁর সৃষ্টিতে ছিল সামাজিক অসাম্য, শোষণ এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ‘জননী’, ‘কৃতদাসের হাসি’, ‘নীলদর্পণ’ সহ অনেক উপন্যাস ও গল্পে তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে তুলে ধরেছেন। তাঁর লেখায় দেখা যায়, একজন সমাজ সচেতন ও বিবেকবান লেখকের চিন্তা ও মনোভাব যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রভাবিত করে।
মানবিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক চেতনা
শওকত ওসমান তাঁর সাহিত্যে কখনোই রাজনীতি বা সমাজের অবিচার থেকে দূরে থাকেননি। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাহিত্যের মাধ্যমে প্রতিবাদ ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর রচনার মাধ্যমে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির চেষ্টা ছিল, যা কেবল লেখক হিসেবে নয়, সমাজের একজন চিন্তক হিসেবেও তাঁকে মর্যাদিত করেছে।
আজকের দিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
আজকের দিনটি তাঁর প্রয়াণ দিবস, আর এই দিনটি তাঁর সাহিত্যের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর রেখে যাওয়া মূল্যবোধ ও চিন্তার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নতুন করে অনুভব করার দিন। শওকত ওসমান শুধু একজন লেখক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সমাজকর্মী, এমন একজন মানুষ যিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে দুঃখী মানুষের জন্য ন্যায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়েছেন।
আজকের এই দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর সাহিত্যের চিরন্তন প্রভাব এবং তাঁর মানবিক দর্শনকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করার সময়।
মন্তব্য করুন: