শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

টেকনাফে অপহৃত ১৪ জনকে উদ্ধার করলো বিজিবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫, ১৬:৪৫

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মানবপাচার চক্রের মুলহোতা সাইফুল ইসলামের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টেকনাফে দীর্ঘদিন ধরেই অপহরণ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে বিজিবির। সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে পাচারের জন্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে অপহরণ করে সদর ইউনিয়ন দক্ষিণ লম্বরী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে জিম্মি করে রাখা আছে বলে সংবাদ আসে। সেই সংবাদের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে সাইফুলের গোপন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ১৪ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ১৪ জনকে দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে দালালের মাধ্যমে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে এনে জিম্মি করে রাখেন তারা। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের জন্য শারীরিক নির্যাতনও চালায় তারা। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে তাদের- তা জানতে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃত কক্সবাজারের বাসিন্দা মো. কাসেম ও মহিন উদ্দিন বলেন, ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে মারধর করে তাদের পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ করে টাকা আদায় করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে তাদের বিক্রি করে দেওয়া। অবশেষে বিজিবি এসে তাদের উদ্ধার করায় কৃতজ্ঞতা জানান তারা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর