শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
  • ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
  • পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নবঞ্চিত সীমান্ত কন্যা
  • আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
  • পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি আজ
  • ঢাকার বাণিজ্য-প্রতিকূল আচরণে ভারতের উদ্বেগ, তবে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এড়ানোর ইঙ্গিত
  • মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাজশাহীতে বখাটেদের হামলায় খুন হলেন বাবা
  • বৈঠকে বসছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল
  • মুজিবনগর সরকার আমাদের জন্য বীরত্বগাথা অধ্যায়
  • পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেয়া হবে না

রাজেকুজ্জামান রতন

নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র হবে এর গ্যারান্টি নেই

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩৭

নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অংশ হলেও, কেবল নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না—এ কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।

ডিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন দেখেছি—যেগুলোতে নির্বাচন ছিল, কিন্তু গণতন্ত্র ছিল না।” তাঁর মতে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হলে কেবল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা যথেষ্ট নয়; সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নির্বাচনের সময় যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের ভূমিকা ও আকাঙ্ক্ষা।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ভোটার, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে তখনকার সরকার—তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনই অনেক সময় নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে।”

রাজেকুজ্জামান রতন আরও বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থার প্রয়োজন। এটি চালু করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, যা করতে গেলে আবার পার্লামেন্টে সমর্থন প্রয়োজন, আর তার জন্য প্রয়োজন একটি নির্বাচন।

তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান একটি নৈতিক জাগরণ তৈরি করে, যা জনগণের শক্তির প্রকাশ। যখন একটি স্বেচ্ছাচারী বা ফ্যাসিবাদী সরকারকে নির্বাচন দিয়ে সরানো সম্ভব হয় না, তখন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করতে হয়।”

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৬৯, ১৯৯০ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে তিনটি গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। প্রতিবারই সেই গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হয়েছে, কারণ নতুন সরকার পরিচালনায় সংবিধানিক কাঠামোর প্রয়োজন হয়।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম ও বিধান ব্যক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী হলে সেটা স্বৈরাচারের জন্ম দেয়। এজন্য পার্লামেন্টের মাধ্যমে আইনগত কাঠামো গঠনের কথা বলা হয়।”

তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন, যাতে সেই গণঅভ্যুত্থানের জনমতকে সংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া যায়।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন—এই দুটি নির্বাচন ভিন্ন। একটি চলমান কাঠামোর জন্য প্রয়োজন হয়, আরেকটি প্রয়োজন হয় নতুন বিধান প্রবর্তনের জন্য। কিন্তু জনগণ গত তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় তারা এই নির্বাচনকে কীভাবে দেখবে, সেটাও বড় প্রশ্ন।”

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর