প্রকাশিত:
৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯
সরকারি বিধিতে বিনামূল্যের বই বিতরণে নিয়ম নেই কোনো টাকা নেওয়ার। অথচ অনৈতিক উপায়ে ঘুষের বিনিময়ে বই দিচ্ছেন বিশ্বনাথ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. মজিবুর রহমান সরকার। সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বই নিতে এলেই বইয়ের চাহিদানুযায়ী ঘুষ দিতে হয় তাকে।
প্রতি বছর কেবল বই বিতরণ কার্যক্রম থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এ অভিযোগ খোদ শিক্ষকদেরই। জানতে চাইলে অভিযুক্ত অফিস সহকারী মো. মজিবুর রহমান সরকার জানান, ‘আমি কষ্ট করি, লোকজন দেয় তাই নিই। কাউকে জোর করি না।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান আহমদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ এ বিষয়ে কথা হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। কোনো বিধানই নেই টাকা নেওয়ার। বিষয়টি সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
’ ২০০২ সালের ১০ জুলাই থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারীর পদে দায়িত্ব পালন করছেন মো. মজিবুর রহমান সরকার। এরপর থেকেই বই বিতরণে কলেকৌশলে টাকা আদায় শুরু করেন তিনি। পুরো উপজেলার ৯৯টি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, দাখিল মাদরাসা, ইবতেদায়ি মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেনে তিনিই বিতরণ করেন বই।
এসব প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার থেকে ১ হাজার, ৫০০ টাকা উৎকোচ দিতেই হয় তাকে। না হয় সঠিক সময়ে বই দিতে গড়িমসি শুরু করেন তিনি। সরেজমিন ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রম দেখতে বিশ্বনাথ আলিয়া মাদরাসায় সরকারি বইয়ের গোডাউনে যাওয়া হয়।
এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা লোকজনের মধ্যে বই বিতরণ করছিলেন তিনি। কথা হয় উপজেলার আমতৈল মাদরাসা, মিসবাহুল হুদা দাখিল মাদরাসা ও দৌলতপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসার শিক্ষকদের সঙ্গে। তারা জানান, প্রতি বছরই সরকারি বই নিতে এলে ‘মজিব স্যার’কে টাকা দিতে হয়। এবার দুই ধাপে বই আসায় দুবারই আমাদের টাকা দিতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন: