প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের চাকরি জীবনের সম্পূর্ণ বেতনও ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই রায় দেন।
এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের সব নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে চাকরি হারান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। সেই রায় সুপ্রিম কোর্টে বহাল থাকলো।
এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব নয়। যারা দোষী নন, তারা নতুন করে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন এবং দোষী চিহ্নিত হয়েছেন, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এই মামলার তদন্ত চালাবে সিবিআই। এছাড়া যারা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসির চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা পুরনো দপ্তরে ফিরে যেতে পারবেন।
তবে তিন মাসের মধ্যে তাদের স্থানান্তরের আবেদন করতে হবে। এই নির্দেশনার পরে যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে, তা আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরন করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রীসহ শাসক দলের একাধিক বিধায়ক ও সিনিয়র নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক বাসা থেকে সিবিআই অভিযান চালিয়ে প্রায় শত কোটি রুপি নগদ অর্থ, কোটি কোটি রুপির সোনা, বন্ড শেয়ার উদ্ধার করেছে। এছাড়া মোটা অংকের বেনামী সম্পত্তিও খোঁজ পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন: