শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল ২০২৫, ২৮শে চৈত্র ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদে একমত নয় বিএনপি
  • হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দশ মামলা দায়ের
  • বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন বিষয়ে যা বললেন ফারুকী
  • জাতিসংঘে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের
  • আজ বায়ুদূষণে ঢাকা ১২তম
  • সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
  • জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সাত দিনে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৩৪১
  • বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান

বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি করল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৯

বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি করেছে ভারত। সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাতটি রাজ্য নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই দাবি করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে “স্থলবেষ্টিত” বলে বর্ণনা করার এবং বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের “সমুদ্র প্রবেশাধিকারের অভিভাবক” হিসেবে উল্লেখ করার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জয়শঙ্কর বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন (বিমসটেক) ​​-এ ভারতের কৌশলগত ভূমিকা তুলে ধরে, ভারতের সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং বিমসটেকের পাঁচ সদস্যের সাথে ভারতের ভৌগোলিক সংযোগের ওপর আলোকপাত করেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সাথেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকে সংযুক্তও করে। ভারতীয় উপমহাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি বড় অংশও প্রদান করে।”

জয়শঙ্কর দাবি করেন, “বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, পানিপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।”

ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, “আমরা সচেতন যে— এই বৃহত্তর ভৌগোলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই ভূ-কৌশলগত বিষয়কে মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে বিমসটেক-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে— সহযোগিতা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, চেরি-পিকিং (পক্ষপাতদুষ্ট) বিষয় নয়।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর