শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল ২০২৫, ২৮শে চৈত্র ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদে একমত নয় বিএনপি
  • হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দশ মামলা দায়ের
  • বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন বিষয়ে যা বললেন ফারুকী
  • জাতিসংঘে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের
  • আজ বায়ুদূষণে ঢাকা ১২তম
  • সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
  • জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সাত দিনে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৩৪১
  • বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান

জাপানে মেগা ভূমিকম্পের শঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৮

জাপানে দীর্ঘদিন ধরে একটি মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা মারাত্মক প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। নতুন এক সরকারি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, এই ভূমিকম্পে প্রায় ৩ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে এবং দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্ধেকের সমান ক্ষতি হতে পারে।

সোমবার (৩১ মার্চ) জাপানের মন্ত্রিপরিষদ অফিস থেকে প্রকাশিত হালনাগাদ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে ২৭০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ১.৮১ ট্রিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হতে পারে। যা পূর্ববর্তী অনুমানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি এবং দেশটির জন্য এক ভয়াবহ সংকেত।

জাপানের ভূমিকম্প তদন্ত প্যানেলের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে একটি মেগা ভূমিকম্পের সম্ভাবনা ৮০ শতাংশেরও বেশি। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, ৮ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প ‘মেগা কোয়াক’ হিসেবে পরিচিত, যা সাধারণ ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক বেশি বিধ্বংসী হতে পারে। বিশেষ করে এটি যদি ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ঘটে, তাহলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভয়াবহ হবে।

জাপান সরকারের প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, যদি ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, তাহলে বিশাল সুনামি সৃষ্টি হতে পারে এবং শত শত ভবন ধসে পড়তে পারে।

এতে প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন এবং ১২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারেন, যা জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত নানকাই খাদ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছর অন্তর বড় ধরনের ভূমিকম্প সৃষ্টি করে। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্পগুলো ১৯৪০-এর দশকে ঘটেছিল। ভূকম্পবিদদের মতে, এরপর থেকে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পজনিত চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর আগে, ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানে ৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে ভয়াবহ সুনামি হয় এবং ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সেই সঙ্গে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চেরনোবিলের পর বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয় দেখা দেয়।

গত বছর জাপান প্রথমবারের মতো নানকাই অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর একটি মেগা ভূমিকম্পের ‘উচ্চ সম্ভাবনা’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো সময় এই ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে, যা পুরো দেশকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর