প্রকাশিত:
১২ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৮
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। বর্তমানে অভিনয় থেকে খানিকটা দূরে থাকলেও খুব শিগগিরিই আবারও শোবিজাঙ্গনে ফেরার কথা নায়িকার। ভিন্ন ধর্মের হলেও নামের শেষে মুসলিম পদবী ব্যবহার করেন তিনি। এর পেছনে হৃদয়স্পর্শী এক কারণ লুকিয়ে রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে এর কারণ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দিয়া জানান, তার বাবা ছিলেন একজন জার্মানি আর্কিটেকচার। ধর্ম খ্রিস্টান। আর তার মা ছিলেন বাঙালি হিন্দু।
দিয়ার যখন মাত্র ৪ বছর বয়স তখন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। তার বাবার পদবী ছিল হ্যান্ডরিচ। দীর্ঘ সময় অবধি নিজের পদবী হ্যান্ডরিচই ব্যবহার করতেন দিয়া। পুরনো দিনের কথা মনে করে দিয়া বলেন, ‘আমার যখন ৯ বছর। তখন আমার বাবা মারা যান। আমি সব সময় তার পদবী হ্যান্ডরিচ ব্যবহার করতাম।’
৯ বছর বয়সে মারা যান অভিনেত্রীর বাবা। মা পরে আবার বিয়ে করেন। দিয়ার সৎ বাবার নাম আহমেদ মির্জা। ছোট্টবেলা থেকেই দিয়াকে ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখতেন তিনি।
দিয়া বলেন, ‘মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে আমি আমার পদবী পরিবর্তন করি। আমার নামের শেষে আমার সৎ বাবার টাইটেল মির্জা যোগ করি।’
দিয়া আরও বলেন, ‘বড় হচ্ছিলাম। বুঝতে পারলাম সৎ বাবা নয়, উনি আমার নিজের বাবার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এতটাই ভালবাসতেন। তাই যখন মিস ইন্ডিয়ায় অংশ নিলাম, নিজের ইচ্ছাতেই হ্যান্ডরিচ পদবী সরিয়ে মির্জা পদবীকে আপন করে নিলাম।’
দিয়া জানিয়েছেন ধর্ম পরিবর্তনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। সৎ বাবার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
দিয়ার তখন মাত্র ২৩ বছর। মারা যেন আহমেদ মির্জাও। মুষড়ে পড়েন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘একই জীবনে দুই দুই বার বাবা হারালাম। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম সে সময়।’
দিয়ার ব্যক্তিগত জীবনেও একসময় এসেছিল উথালপাথাল। ব্যবসায়ী সাহিল সঙ্ঘের সঙ্গে তার বিয়ে ভাঙে ২০১৯ সালে। ঠিক দুই বছর পর আবার নতুন করে ভালোবাসা খুঁজে পান অভিনেত্রী। বিয়ে করেন বৈভব রেখিকে। তাদের বর্তমানে এক সন্তান রয়েছে।
মন্তব্য করুন: