প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২৫, ১৫:০২
জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘বেওয়াচ’ ও ‘নাইট রাইডার’র অভিনেত্রী পামেলা বাখ আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ মার্চ) হলিউড হিলসের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন ৬২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
এদিকে কী কারণে পামেলা আত্মহত্যা করেছেন- তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যও বেরিয়ে এসেছে। এমন মৃত্যুর জন্য পিপল ম্যাগাজিনকে সম্ভাব্য ওই কারণের কথা উল্লেখ করেছেন একসময় অভিনেত্রীর পরিবারের দেখভাল করা (ন্যানি) আন্দ্রেয়া ক্যানিং।
পিপল ম্যাগাজিনকে আন্দ্রেয়া জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে বেওয়াচ অভিনেত্রী গুরুতর স্বাস্থ্য ও আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। তিনি বলেন, ‘শেষবার যখন আমি তাকে (পামেলা) দেখি, তিনি লাঠির সাহায্যে হাঁটছিলেন। আমি যে পামেলাকে চিনতাম- তিনি সেই পামেলা ছিলেন না।’
আন্দ্রেয়া জানান, ২০০৩ সালে পামেলা এবং অভিনেতা হাসেলহফের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। অর্থ সংকটও তীব্র হয়ে উঠেছিল তার জীবনে। তিনি প্রায় সময়ই বলতেন, ‘আমি গৃহহীন হয়ে যাব। আমাকে এই বাড়ি ছাড়তে হবে।’
পামেলার আর্থিক সংকট সম্পর্কে বলতে গিয়ে আন্দ্রেয়া বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি কীভাবে সেখানে থাকতেন বা কীভাবে বিল পরিশোধ করতেন। কারণ তিনি প্রায়ই বলতেন- আমি কী করব?’
তবে পামেলাকে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ছাড়তে হয়নি। আর্থিক সমস্যা থাকার পরও তিনি সব সময় আশাবাদী থাকতেন বলে জানিয়েছেন আন্দ্রেয়া। তিনি বলেন, ‘পামেলা জীবন নিয়ে খুবই ইতিবাচক ছিলেন। যত দিন গেছে, আমি দেখেছি তিনি আরও দয়ালু হয়ে উঠেছেন।’
হলিউড হিলসের ২০ লাখ ডলারের বাড়িতে পামেলার মরদেহ পাওয়া যায়। একসময় জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা ডেভিড হাসেলহফের স্ত্রী ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘বেওয়াচ’ সিরিজে কেয় মরগ্যান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে ১৯৮৫ সালে হাসেলহফের সঙ্গে ‘নাইট রাইডার’ এ অভিনয়ে তিনি খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেন।
বিস্তৃত ক্যারিয়ার ছিল এই অভিনেত্রীর। ৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম অভিনয় শুরু করেন। এরপর ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্টজনের পরামর্শে তিনি অভিনয়শিল্পে জীবন কাটিয়ে দেন। তার অভিনীত বিখ্যাত সিরিজ ও সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘দ্য ইয়াং অ্যান্ড দ্য রেস্টলেস’, ‘সাইরেনস’, ‘চিয়ার্স’, ‘দ্য ফল গাই’, ‘টিজে হুকার’, ‘সুপারবয়’, ‘ভাইপার’ ইত্যাদি।
ডেভিড হাসেলহফ ও পামেলা বাখের ২০ বছরের দাম্পত্যে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। আত্মজীবনীতে ডেভিড হাসেলহফ উল্লেখ করেছেন, প্রথমবার পামেলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল ‘নাইট রাইডার’ শোতে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তারা আবার একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তারা বিয়ে করেন।
পামেলার মৃত্যুতে ডেভিড হাসেলহফের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে- পামেলা হাসেলহফের মৃত্যুতে আমাদের পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তবে চ্যালেঞ্জিং এই সময়ের মধ্য দিয়ে শোক প্রকাশ এবং গোপনীয়তার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করুন: