বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শেখ হাসিনা-জয়-রেহানার ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
  • দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারা ঘটাচ্ছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত, ৯০ দিনে ধর্ষণের বিচার করতে হবে
  • পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে
  • ঈদযাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রীবহন করলে কঠোর ব্যবস্থা
  • প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ
  • হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও সকল সহযোগীর বিচার হবে
  • ইসির অধীনে এনআইডি সেবা না রাখার প্রস্তাব
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন, যে জবাব দিলেন ড. ইউনূস

রোজাদার শিশুর যত্ন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:০৩

ইসলামী চিন্তাবিদের পরামর্শ, শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। শিশুকে ইফতারে, রাতের খাবারে এবং সেহেরি এমন খাবার দিতে হবে যাতে ডিহাইড্রেশনের কোন সম্ভাবনা না থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, পানীয়, ফল ও সবজি শিশুকে খাওয়াতে হবে। এই ধরণের খাবার রোজাদার শিশুর খাদ্য তালিকায় থাকলে তার ক্যালরির কোনো ঘাটতি হবে না।

পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘‘অনেক মা চিন্তা করেন যে, আমার শিশুটি বা ছেলেটি বা মেয়েটি সারাদিন না খেয়ে থাকবে। ওর সারাদিনের পুষ্টি বা চাহিদা সেটা কি মিটবে। কিন্তু আসলে যদি আমাদের ধর্মীয় দিক থেকে চিন্তা করতে হয় তাহলে কখন রোজাটা শুরু করতে হবে। বলা হয়েছে, ‘সাবালক হলে রোজা ফরজ’। সাবালক হওয়ার আগে থেকেই শিশুকে আস্তে আস্তে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করে তোলা যেতে পারে।’’

শিশুকে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার দিতে হবে। শিশুরা যেসব খাবার পছন্দ করে, যেমন তরমুজের রস অথবা বাঙ্গির রস। মালটার জুস অনেক শিশুই পছন্দ করে।এ পানীয় ইমিউনিটি তৈরি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। একইভাবে আপনি তাকে একটি স্যান্ডউইচও দিতে পারেন।

১.প্রথম দিকে দিনের কিছু অংশে রোজা পালন করানো, আস্তে আস্তে সময়কে বাড়ানো। যে পন্থাটি অবলম্বন করতেন আমার মমতাময়ী মা আমাদের ভাই-বোনদের ব্যাপারে।

২. শিশুদের কাছে রোজার ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস গুলি গল্প আকারে শোনানো। রোজাদারের জান্নাতে প্রবেশের দরজা রাইয়ান সম্পর্কে আলোচনা করা ।

৩.শিশুরা রোজা রাখলে প্রতিদিন তাদেরকে কিছু কিছু পুরস্কার দেওয়া । এতে রোজা রাখার প্রতি তাদের উৎসাহ পাবে।

৪. আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যে সকল শিশুরা রোজা রাখে তাদের গল্প নিজের শিশুকে শোনানো। সুযোগ হলে ওই সকল শিশুদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করানো। এতে তাদের সিয়াম পালন অব্যাহত থাকবে।

অনেক অভিভাবক রয়েছেন বাচ্চার শরীর নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে তাদের সাওম থেকে দূরে রাখেন। যা নিতান্ত বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। মাঝে মাঝে উপবাস মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী যা আজকের চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর