সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন
  • ১০ এসি বাস নিয়ে চালু হলো বিআরটি প্রকল্প
  • একাত্তরের পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি

জাইকা’র এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশ সফর করলেন ড. জুনিচি ইয়ামাদা

প্রেস রিলিজ

প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪০

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইএসভিপি) ড. জুনিচি ইয়ামাদা সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। গত ০২-০৭ জুলাই তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করেন। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল হলি আর্টিজান অ্যাটাকে নিহত সাত জাপানি নাগরিকের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান করা এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে জাপান সরকারের উন্নয়ন সহযোগিতার ৫০তম বার্ষিকীতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করা। এ সময় ড. ইয়ামাদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
জাইকা’র ইএসভিপি ড. ইয়ামাদা তার অবস্থানকালে জাইকা ও জাপান সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (বিএসইজেড), মাতারবাড়ি আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি বন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল, মেট্রো রেল ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প অন্যতম।
এসময় ড. ইয়ামাদা জাইকা’র সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পগুলোর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। দেশে জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতার ৫০ বছর উদযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি শিল্পোন্নয়ন ও বৈচিত্রতা, নগর উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন - এই তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে মন্ত্রী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
৬ই জুলাই ড. ইয়ামাদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাইকার ধারাবাহিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। ড. ইয়ামাদা বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাইকার ধারাবাহিক সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা ব্যক্ত করেন। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত জনাব কিমিনরি ইউয়ামা, জাইকা বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান প্রতিনিধি জনাব তোমোহিদে ইচিগুচি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। ৩রা জুলাই, ড. ইয়ামাদা ২০১৬ সালের ১লা জুলাই হলি আর্টিজান হামলায় নিহত সাত জাপানি নাগরিকের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে নিজেদের উৎসর্গ করা নিহত নাগরিকদের স্মরণে গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন নিহত সাত জাপানি নাগরিকের অবদানপুষ্ট ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (ডিএমআরটি) প্রকল্পটি জাপান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে থাকবে এবং তাঁদের অবদান এবং নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকার মাথায় রেখে জাপান বাংলাদেশের সাথে ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবে।
এর আগে ড. ইয়ামাদা নারায়ণগঞ্জ এর আরাইহজার এ অবস্থিত স্পেশাল ইকোনোমিক জোন পরিদর্শন করেন; সেখানকার চলমান উন্নয়ন কাজ বহু জাপানি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। অন্যদের পাশাপাশি বিএসইজেডে সংযোগ সড়ক, ভূমি উন্নয়ন ও ইউটিলিটি সংযোগ দেয়ার মতো অফ-সাইট কাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে অর্থায়ন করছে জাইকা। কাজ শেষে এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোন ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি, ড. ইয়ামাদা জাপানের অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআইডিআই) প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ও শক্তি উৎপাদনের জন্য ইন্টিগ্রেটেড ইকোনোমিক হাব গড়ে তুলতে ২০ হাজার একর জায়গায় পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে এই এমআইডিআই উদ্যোগ। এছাড়া, এই প্রকল্পের আওতায় জাইকার সহযোগিতায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হবে। এই সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় ড. ইয়ামাদা ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার), আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন) ও জাপানিজ রেড ক্রস সোসাইটির সাইটগুলো ঘুরে দেখেন এবং ক্যাম্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি আশ্রয়দানকারী কমিউনিটিগুলোর জন্য জাইকার পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত এবং ক্যাম্পে ইউএনভি’র (ইউনাইটেড ন্যাশনস ভলান্টিয়ার্স) মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সাথে যৌথভাবে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি, ড. ইয়ামাদা বর্তমানে নির্মাণাধীন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বর্ধিত প্রকল্প পরিদর্শন করেন। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে বিমানবন্দরের বর্তমান সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে; এতে করে, বছরে ১ কোটি ৬০ লাখ (১৬ মিলিয়ন) যাত্রী বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। একই সাথে, বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে টার্মিনালের সাথে যুক্ত হচ্ছে একটি নতুন কার্গো কমপ্লেক্স, বহুস্তরীয় (মাল্টি-লেভেল) গাড়ি পার্কিং ও অত্যাধুনিক আরও অনেক সুবিধা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর