শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০৩

সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণসহ নানা দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান হেলথ সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশন অ্যান্ড আরটিআই প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিট, সিআইপিআরবির পরিচালক সেলিম মাহমুদ চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত প্রবন্ধে সেলিম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলো (বিশেষ করে সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ) অন্তর্ভুক্ত করার আলোকে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করতে হবে।

এর মাধ্যমে সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা-জনিত মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার কমবে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।

বাংলাদেশের প্রচলিত সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮- এ বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান আইনে মূলত পরিবহন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এতে প্রচলিত সড়ক ব্যবহারকারীর আচরণগত ঝুঁকি যেমন- বেপরোয়া গতি, হেলমেট ব্যবহার না করা, মদ্যপ বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

বর্তমান আইনে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারী যেমন: পথচারী, সাইক্লিস্ট, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। যথাযথ মানদণ্ড অনুসরণ করে রোড ক্র্যাশের তদন্ত করা এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করার বিষয়ে বর্তমান আইনি কাঠামোয় কোনো বিধান রাখা হয়নি বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা একটি মন্ত্রণালয় কিংবা একটি দপ্তরের একার কাজ নয়। এতে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরের সক্রিয় অংশগ্রহণ যেমন দরকার, তেমনি প্রয়োজন লিড এজেন্সি নির্ধারণ করাও দরকার। বর্তমান আইনি কাঠামোয় সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য লিড এজেন্সি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শুধু আইন করলেই হবে না, আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। যেসব আইন আছে, তার কিছুটাও যদি বাস্তবায়ন হতো তাহলেও কিছুটা উন্নতি হতো। সড়কে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘ যে মডেল দিয়েছে, তার আলোকে আমরা নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।

সিআইপিআরবিয়ের রোড সেফটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কাজী বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, ব্র্যাক সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, স্টেপস্ টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর