প্রকাশিত:
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫৭
গত ১২ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় ১৯/এ নয়াপল্টনে অবস্থিত কুরআন মজলিস বাংলাদেশের ভবনে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। কুরআন মজলিসের নির্বাচিত আমীর মাওলানা এমদাদ উল্লাহ এতে আহত হন। সে ঘটনার প্রতিবাদে আজ ১৩ই অক্টোবর বিকেলে কুরআন মজলিস ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কুরআন মজলিস বাংলাদেশ । এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুরআন মজলিস বাংলাদেশ এর নির্বাচিত আমির মাওলানা মোঃ এমদাদ উল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কুরআন মজলিস ভবনটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমেরিকা প্রবাসী ও এবি পার্টির উপদেষ্টা দাবিদার মিয়া মোঃ সিরাজ-ও মোস্তফা কামাল গং। এ নিয়ে এর আগেই তারা সংগঠন বিরোধী কাজে জড়িত হলে আমির পরিষদের এক সভায় মোস্তফা কামালকে সংস্থার মহাসচিব এবং মিয়া মোঃ সিরাজকে উপদেষ্টা পরিষধ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। এ ঘটনার পর মিয়া মোঃ সিরাজ আমেরিকা চলে যায়। সেখানে বসেই তিনি নিজেকে দলের আমীর ঘোষনা করে এবং মোস্তফা কামালকে মহাসচিব করে গোপনে সমাজ সেবা অফিসকে ম্যানেজ করে একটি ৭ সদস্যের এডহক কমিটি শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করে নেয়। একটি নির্বাচিত কমিটি সারা দেশের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কার্যকর থাকার পর কীভাবে একটি এডহক কমিটি হতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা সমাজ সেবা অফিসে আমাদের কমিটি জমা দিয়েছি, জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এর প্রতিবাদ করেছি। একই সাথে আমাদের কমিটির সকল বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে আমরা সরকারের উদর্ধতন মহলে কথা বলেছি। তাদের জানিয়েছি। যখন এ বিষয়টি ষড়যন্তকারিদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে, তখন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ভবন দখলে সন্ত্রাসীদের এনে আমার উপর হামলা করেছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে সরকারের উদর্ধতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক দিনের জন্যও এ সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত হয়নি। দেশের ৪৭ টি জেলায় সংস্থার জেলা কমিটি কায়েম আছে। সেই সাথে মহানগর ও অনেকগুলো থানা কমিটি কার্যকর রয়েছে। এমন একটি সংস্থার কার্যক্রম চালু নেই বলে যারা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে তথ্য দিয়ে এডহক কমিটি গঠনের আবেদন দিয়েছে তারা মিথ্যেবাদী এবং মোনাফেক। এ জাতের মানুষের সাথে কুরআন সুন্নাহর কোন মানুষের নুন্যতম সম্পর্ক থাকতে পারে না। তাদের কাছ থেকে কুরআনের কোন খেদমত আশা করাও অনুচিত।
তিনি সাংবাদিকদের জাতির বিবেক উল্ল্যেখ করে এ ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন জাতির সামনে তুলে ধরার আহবান জানান। সেই সাথে এহেন ঘৃণিত কাজে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। তিনি নিজ জীবন ও কুরআন মজলিসের ভবন ও কর্মিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যানের মধ্যে কুরআন মজলিস বাংলােেদশের সহ আমির -১, মোঃ আব্দু সাত্তার, সহ আমীর -২ মাওলানা হাফিজুর রহমান মল্লিক, মহাসচিব মাওলানা মোঃ মহিউদ্দিন গাজী, যুগ্ম মহাসচিব-১ মোঃ শুক্কুর আলী কাজী, যুগ্ম মহাসচিব -২ মাওলানা মোঃ আবুল কালাম সিরাজী, যুগ্ম মহাসচিব-০৩মোঃ ওমর আলী ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন
মন্তব্য করুন: