প্রকাশিত:
১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩
আসন্ন দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়ে কমিশন বলেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে আগামী অক্টোবরের প্রথমাংশে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে জনসংখ্যায় স্বল্পতার অস্তিত্ব আছে, যদিও কমিশন লঘু বা গুরুর পরিবর্তে সম-নাগরিকতায় বিশ্বাস করে এবং সবাইকে সমান নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কেউ যদি অসহায় বোধ করেন তবে দেশের মানবাধিকার সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে দেশ স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কিছু স্বার্থান্বেষীর অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও বাড়িঘরে, কোথাও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরই প্রেক্ষিতে দুর্গাপূজা উদযাপন ঘিরে কোথাও কোথাও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কমিশন আসন্ন দুর্গাপূজায় সকল মণ্ডপে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছে। কমিশন মনে করে, সারা দেশব্যাপী বিশাল সংখ্যক (৩২৬৬৬টি) পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এলাকাভিত্তিক সক্ষমতা যাচাই করে উপযুক্ত করে তোলা বা সহযোগী শক্তি গঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রতিপালন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিতকরণ, পূজা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন, সংশ্লিষ্ট সকল এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানায় কমিশন।
মন্তব্য করুন: