শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

১০৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছেন হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯

ছাত্র-গণ আন্দোলনে ক্ষমতা ছাড়ার সময় শেখ হাসিনা ১০৩.৭৯ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ( প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।

১৫ বছর আগে শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় বৈদেশিক এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২১.১৯ বিলিয়ন ডলার।

এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করে।

তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরের শেষে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ স্থিতি ছিল ১০০.৬৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই প্রায় ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত মার্চে দেশের মোট বিদেশি ঋণ কমে ৯৯.৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু ডলার সংকটসহ নানা কারণে বিদেশি সংস্থাগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আবার বেড়ে ১০৪ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর-কষাকষি ছাড়া ও বাছবিচারহীনভাবে, যা সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।

তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুন শেষে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২০.৫৭ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে এ ঋণ ছিল ২০.৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের অক্টোবর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২১.২৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেও চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ কমেছে ৭০৬ মিলিয়ন ডলার।

বেসরকারি এ ঋণের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জুন পর্যন্ত মোট বিদেশি ঋণের ১১.৪০ বিলিয়ন স্বল্পমেয়াদি ও ৯.১৭ বিলিয়ন ডলার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, ঋণ বাড়লেও পরিশোধ করার সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে সরকারকে। তাহলে এ ঋণ কোনো শঙ্কা তৈরি করবে না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেগাপ্রকল্পগুলো, যেমন- পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এসব করতে গিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

দুঃখজনক হলো এসব ঋণের অর্থে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যখন সম্পন্ন হবে তখন প্রকল্পগুলোর আয় থেকে ঋণের কিস্তির অতি সামান্য অংশই পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেন এ অর্থনীবিদ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর