প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩২
ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার উভয় পক্ষ থেকে ফেনী সদর মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়।
দুপুরে সদরের ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমনের বড় ভাই এরশাদ উল্যাহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলামসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এদিকে নজরুল ইসলামের ছোট ভাই মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেছেন। এতে ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুজন স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গুরুতর আহত সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল ও পাশের কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বাহার, আশিকুল ও জাফরসহ তিনজনকে আটক করেছিল। মামলার এজাহারে তাঁদের তিনজনের নাম থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এলাকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে স্থানীয় লোকজন জানান, ছাত্রদলের উভয় পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলার পর এলাকায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে ছনুয়া ইউনিয়নের তালতলায় একটি ঘরোয়া বৈঠক করেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল। বৈঠক শেষে তাঁদের ওপর হামলা করেন ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমন ও ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিনের পক্ষের লোকজন। এ সময় তিনজন আহত হন। পরে রোববার সকালে নজরুলের অনুসারী ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি শরীফুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নজরুল তাঁর অনুসারীদের নিয়ে ছনুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থান নিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের হাতে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দেখা যায়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন চানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উভয় মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন: