প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:২৪
বন্যায় প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাত হাজার ৭২২ কিলোমিটার রাস্তা। এ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৫১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বন্যাদুর্গত এলাকায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা সব দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান।
আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামতের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
এলজিইডি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭২২ কিলোমিটার রাস্তা এবং এক হাজার ১০১টি ব্রিজ-কালভার্ট। এ পর্যন্ত এলজিইডি মেরামত করেছে ৫১ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৯৬টি ব্রিজ ও কালভার্ট।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
২৯ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্যাদুর্গত ১১টি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার পানিশোধন ট্যাবলেট। জেরিকেন বিতরণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯২৭টি এবং ইউনিসেফের সহায়তায় বিতরণ করা হয়েছে চার হাজার ১৩৭টি হাইজিন কিট ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৬৩ হাজার ২৭৪ জনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৮ জনকে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২০ জনকে।
এ ছাড়া সারা দেশে আটটি (ফেনীতে পাঁচটি, মৌলভীবাজারে একটি, নোয়াখালীতে একটি, ও কুমিল্লায় একটি) মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) এ পর্যন্ত এক লাখ ৭০ হাজার ৫০৫ লিটার নিরাপদ খাবার পানি বিতরণ করেছে।
হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, ফেনী, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উন্নতি হলেও বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও মৌলভীবাজার জেলায়। নতুন করে কোনো জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়নি।
মন্তব্য করুন: