মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন
  • ১০ এসি বাস নিয়ে চালু হলো বিআরটি প্রকল্প

সংখ্যালঘু নয়, মানুষ-নাগরিক হিসেবে অধিকার চাইবেন: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১৩ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:০৩

নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয় বরং মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (আগস্ট ১৩) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নয়; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত হোক।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি অমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরনো জায়গায় চলে গেল। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই, আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন।

বিগত বছরগুলোয় দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করা হয়েছে মন্তব্য করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, সমস্ত সমস্যার গোড়া হলো আমাদের যত প্রতিষ্ঠান আছে সব কিছু পচে গেছে। এই কারণেই এই গোলমালগুলো হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে।

তিনি বলেন, ন্যায় বিচার হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু সম্প্রদায় হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা।

ড. ইউনূস বলেন, এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে। আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে আমার বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচার ব্যবস্থা আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা আদায় করতে পারি নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই।

ড. ইউনূস বলেন, যারা খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলায় আমাদেরকে আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ, আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না।

সবার সহযোগিতা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটু সহযোগিতা করেন আমাদের, একটু ধৈর্য ধরেন। কি করতে পারলাম, কি পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি আমাদের দোষ দিবেন।

এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতাগণ বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে এসব সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান তারা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর