প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:৫৬
নরসিংদীতে নিয়ন্ত্রণ হারানো যাত্রীবাহী একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে উল্টে আছড়ে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসটির ৪৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসাইল এলাকার ফ্লাইওভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীর নাম মো. নুরুল ইসলাম (৫০)। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার মো. আবুল মন্নাফের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের অনেকেই নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তি ও আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা এক্সপ্রেস নামের বাসটি যাত্রীভর্তি করে সিলেট যাচ্ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পথে এক ঘণ্টার মতো বাসটি থেমে ছিল। সময় পুষিয়ে নিতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসাইল এলাকার ফ্লাইওভারটিতে ওঠার পর আরেকটি গাড়িকে অতিক্রম করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। এ সময় বাসটি ফ্লাইওভার থেকে আছড়ে পড়ে উল্টে যায়। এতে জানালার পাশে বসা মো. নুরুল ইসলাম চাপা পড়ে মারা যান এবং আহত হন বাসটির ৪৫ জন যাত্রী।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা। সম্মিলিত সহযোগিতায় দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসের ভেতর থেকে একে একে আহত সবাইকে উদ্ধারের পর নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই নিহত একজনের লাশ আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ ছাড়া আহত ৪৫ জনকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছি। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীসহ হাসপাতালে গিয়েছিলেন ‘বিনিদ্র’ সংগঠনের সদস্য সাদমান হাসান। তিনি বলেন, ‘ঘটনা শুনেই দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি উদ্ধার অভিযান চলছে। বাসের ভেতর থেকে একেকজনকে উদ্ধার করা হচ্ছে, কয়েকজন মিলে তাঁকে কোলে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিচ্ছেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, কারও হাত-পা ভেঙেছে, কেউ বা আবার মাথায় আঘাত পেয়েছেন। প্রায় সবাই কমবেশি রক্তাক্ত। তাঁদের মধ্যে পাঁচ-সাতজন নারী ও একজন শিশু ছিলেন। তবে কাউকেই রক্ত দিতে হয়নি।’
মন্তব্য করুন: