প্রকাশিত:
৪ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৪৯
হামাস নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গাজা উপত্যকা পরিচালনাকারী গোষ্ঠী শনিবার (৩ আগস্ট) একটি বিবৃতি জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, হামাসের সাবেক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর তাদের আন্দোলনের নতুন নেতা নির্বাচন করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। হানিয়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ছিলেন।
তার ডেপুটি সালেহ আল-আরৌরিও গত জানুয়ারিতে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
ইরানের তেহরানে গত বুধবার (৩১ জুলাই, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে) হামলায় নিহত হন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া। গত শুক্রবার কাতারে জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে। হানিয়া হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান। গত বুধবার তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে দেশটি। বৈরুতে ইসরায়েল হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পর তেহরানে হানিয়াকে হত্যা করা হয়।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, লেবানন-ভিত্তিক ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও এই অবস্থায় যেকোনও প্রতিশোধের জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
এমন অবস্থায় হিজবুল্লাহ স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উত্তর ইসরায়েলের বেইট হিলেল শহরে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করে।
এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বৈরুতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তার নাগরিকদের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ‘যেকোনো টিকিট পাওয়া মাত্র’ লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির একই ধরনের সতর্কতার পর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আঞ্চলিক পরিস্থিতির ‘দ্রুত অবনতি হতে পারে’।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তার নাগরিকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করেছে।
দেশটি লেবাননে অবস্থানকারীদের অবিলম্বে চলে যেতে বলেছে এবং অন্যদের সেখানে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে। অন্যদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কানাডা তার নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণে না যেতে সতর্ক করেছে। দেশটি বলছে, এই অঞ্চলে ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে’।
মন্তব্য করুন: