প্রকাশিত:
১ আগষ্ট ২০২৪, ১৮:৫০
প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় প্রতিরোধ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপিং’ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এটি দেশের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নীতিমালা গ্রহণে সহায়ক হবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন অধিদপ্তরের ‘টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল)’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘এ কার্যক্রমের আওতায় পার্বত্য অঞ্চল, হ্রদ, হাওর, বাঁওড়, বিল, ঝিলসহ প্রাকৃতিক জলাভূমির একটি বিশদ মানচিত্র প্রস্তুত করা হবে।
পাহাড় ও পাহাড়ি অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক জলাভূমির ন্যাচারাল ক্যাপিটালের ডাটাবেইস সংরক্ষণ, দৃশ্যায়ন, প্রক্রিয়াকরণ ও অনুসন্ধানের জন্য একটি এমআইএস সিস্টেম প্রস্তুত করা হবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রাকৃতিক মূলধন বোঝার মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবা, কোন লোকদের বর্তমানে এই পরিষেবাগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং কোথায় সম্পদ তৈরি বা বর্ধিতকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তা বোঝা যাবে। প্রাকৃতিক মূলধনের ম্যাপিং স্থানীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে এর বর্তমান ও সম্ভাব্য মূল্যকে একীভূত করতে একটি কার্যকর কাঠামো তৈরিতে সহায়ক হবে।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান।
সভায় মন্ত্রী প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন: