শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সোনারগাঁওয়ে গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০২৪, ১৬:৩৯

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পর পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য ফারুক আহমেদকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের প্রেমের বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীনগরে র‍্যাব-১১–এর ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ফারুক আহমেদ নরসিংদীর মাদবদী থানার নুরালাপুর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। ২০২২ সালে ২৪ মার্চ সিলেটে অভিযান চলিয়ে ফারুক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তিনি জঙ্গি তৎপরতায় দেশদ্রোহী কাজে জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পর থেকে ফারুক নরসিংদী জেলা কারাগারে ২৮ মাস বন্দী ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তানভীর মাহামুদ পাশা জানান, কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে ফেলে‌‌। সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যান। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ, খাদ্য পণ্য লুট ও ব্যাপক ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।

ফারুক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলা কারাগারের ৪ নম্বর সেলে ফারুক আহমেদের সঙ্গে ছিলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন জঙ্গি হিজবুল্লাহ, আবদুল আলীম ও মঈনুদ্দিন। ১৯ জুলাই হাজারো মানুষ কারাগারে হামলা চালায় এবং তারা কারাগারের ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীরা কারারক্ষীদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে সেলের তালা খোলে। কারারক্ষীরা পিছু হটলে অস্ত্রভান্ডার থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার গুলি লুট করা হয়। সুযোগ বুঝে ফারুক আহমেদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা হিজবুল্লাহ কারাগার থেকে পালিয়ে যান। আসামি ফারুক দুই দিন বোনের বাসায় ছিলেন। পরে ২২ জুলাই সোনারগাঁওয়ে প্রেমের বাজার এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে তাঁকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর