প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২৪, ১৫:০৮
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার, যা এখনো বহাল আছে। এই কারফিউ আরও কতদিন চলবে- সে ব্যাপারে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার গুলশানে নিজের কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকের এক প্রশ্ন জবাবে বলেন, জনজীবনে যখন স্বস্তি আসবে, আমরা অবশ্যই কারফিউ প্রত্যাহার করে নেব।
তিনি আরও বলেন, জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসছে এবং তার ফলশ্রুতিতে আপনারা দেখছেন প্রথমে ২ ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হতো এখন ৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে যতই জনমনে স্বস্তি ফিরে আসছে ততই আমরা কারফিউয়ের মেয়াদ কমিয়ে আনছি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন করে আর কোনো সমস্যা তৈরি করা হবে না এবং পরিস্থিতির অবনতি হবে না। কোনো অপশক্তি যদি পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এ সময় তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মুভমেন্টের ভেতরে আক্রমণকারী সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে। জঙ্গি-জামায়াত শিবির ঢুকে তারা আক্রমণ করেছে। সরকার এবং সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল আক্রান্ত। বিএনপি-জামায়াত এবং শিবিরের সন্ত্রাসীরা ঢুকে আক্রমণ করেছে। বিটিভি, সেতুভবন, ডেটা সেন্টার, টোলপ্লাজা আক্রান্ত ছিল। তারা পুলিশকে আক্রমণ করেছে। আক্রান্ত যখন আপনি হবেন তখন আত্মরক্ষার্থে ফাইট ব্যাক করতে হয়। যখন আমরা ফাইট ব্যাক করেছি তখন, সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে। সেই সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আমরা বলতে চাই, যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আক্রমণকারীরা দায়ী। প্রতিটি হতাহতের ঘটনার জন্য আমরা নিন্দা জানাই, দুঃখপ্রকাশ করি এবং সে যেই হোক বিচার করে প্রত্যেককে সাজার আওতায় আনা হবে।
এদিকে, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলমান কারফিউ আরও শিথিল করেছে সরকার। মহাসড়কগুলোয় যান চলাচল শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস আজ বুধবার থেকে চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও আজ থেকে খুলবে। পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন: