বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’
  • নৌবাহিনীর ৩২ কর্মকর্তা পেলেন অনারারী কমিশন

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৪, ১৪:২১

দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫ এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, যারা মুক্তিযোদ্ধা, এটা মাথায় রাখতে হবে জাতির পিতা যে আহ্বান করেছিলেন, যার যা কিছু আছে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবার-সংসার, বাপ-মা সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই। তাদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কাজেই তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি, এর অনেকেরই (মুক্তিযোদ্ধা) হয়তো আমাদের দলের সমর্থন নেই, অন্য জায়গায় চলে গেছেন বা অনেকের অনেক কিছু থাকতে পারে। যে যেখানেই যাক, সেটা আমার কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমার কাছে বিবেচ্য যে, তারা তাদের সর্বস্ব ত্যাগ করে, নিজের জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এবং অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে এই দেশকে স্বাধীন করে বিজয় এনে দিয়েছে। শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় এনে দিয়েছে। কাজেই সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার মতামতের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে কিন্তু তার পরেও সে মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাছে সবাই সম্মানিত। আর সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ তাদেরকে দেবে সেটাই আমরা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) অবহেলিত ছিল। আমি আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি এবং গর্ব ভরে যেন তারা বলতে পারে যে, আমি মুক্তিযোদ্ধা।’

দেশে কেউ অবহেলিত থাকবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠন করতে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষ, কেউ অবহেলিত থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে, প্রতিবন্ধী আছে, অটিস্টিক আছে এবং তাদের সবার প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আমরা। তারা যেন সমাজের সব রকম সুযোগ-সুবিধা পায়, তারা যেন পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর