প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩২
বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য শাহাদত হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিরগাছা এলাকার বাসিন্দা। তার একমাত্র মেয়ে চাকরি করেন ঢাকা পাসপোর্ট অফিসে। আর নিজে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করেন। গ্রামের ভিটায় ৩ বিঘার ফলের বাগান ও বিলে ৫ বিঘা জমি করেছেন। এছাড়াও ঢাকার ইব্রাহিমপুর ১টি ফ্লাট এবং মিরপুর ১৪ এলাকায় একটি ফ্লাটের মালিক। তবে গ্রামে তিনি থাকেন না।
সিংড়া পৌর শহরের উপশহর এলাকায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যর ৮ শতক জায়গা এবং সরকারপাড়া এলাকায় ৫ শতক জায়গার মালিক।
শাহাদতের জায়গা জমিসহ বাগান দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়জিত থাকা খালাতো ভাই হানিফ আলী জানান, শাহাদত হোসেন গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। স্ত্রী সন্তানসহ ঢাকায় বসবাস করেন। বছরে দুই একবার বাড়িতে অসেন।
শাহাদত হোসেনের চাচাত ভাই হাফিজুর রহমান জানান, শাহাদত চাকরি জীবনে প্রথম কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে যোগদান করেন। গ্রামে বাবা মায়ের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জায়গা ছাড়াও অল্প কিছু জায়গা কিনেছেন। শাহাদত যে প্রশ্ন ফাঁস করে তা আমাদের জানা নেই।
শাহাদতের বড় ভাই শাইদুল ইসলাম জানান, ভাই হলেও শাহাদত আমাদের কোন খোঁজ খবর নেন না। গ্রামে তেমন আসে না আর কোথায় চাকরি করেন তাও আমরা জানি না। তবে শুনেছি ঢাকায় তার দুইটা নিজস্ব বাসাসহ সিংড়া শহরে তিনটা জায়গা আছে তার। তাকে চাকরি দিয়েছেন আমাদের এলাকার সাবেক সচিব মখলেছুর রহমান।
তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, শাহাদতের চাকরি শুরু কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে। এরপরে কুমিল্লা, রাজশাহী এবং বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন বলে জেনেছি। তার সিংড়া শহরে তিনটি জায়গা আছে, ঢাকাতে বাসা আছে। একজন নিরাপত্তাকর্মী হয়ে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন: