শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

ইউক্রেন থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন ট্যাঙ্ক তৈরি করল ভারত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪৫

যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদের ঘায়েল করতে নতুন হালকা ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে ভারত। গত শনিবার গুজরাটের হাজিরায় সফলভাবে এই ট্যাঙ্কের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন বা ডিআরডিও) এবং নির্মাণ সংস্থা এলঅ্যান্ডটি যৌথভাবে এই ট্যাঙ্কটি তৈরি করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জোরাবর’।

ভারতের হাতে ইতোমধ্যেই একাধিক ভারী এবং মাঝারি ওজনের ট্যাঙ্ক রয়েছে। এর মধ্যে ‘অর্জুন’, রুশ টি-৯০ (ভীষ্ম), টি-৭২ (অজেয়) অন্যতম। তা হলে কেন আবার নতুন ট্যাঙ্কের প্রয়োজন পড়ল ভারতের?

২০২০ সালের আগস্টে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’র হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরে নতুন ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ভারত। সেনা মোতায়েনের সময় বোঝা গিয়েছিল পাহাড়ি অঞ্চলে হালকা ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা।

এর পর আবার ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও নতুন ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভারত।

২০২০ সালে গালওয়ানে সম্ভাব্য চীনা হামলার আশঙ্কায় দ্রুত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সেনা মোতায়েন করার সময় হালকা ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অনূভব হয়। অর্জুন, ভীষ্ম বা অজেয় ওজনে ভারী হওয়ায় লাদাখের পাহাড়ি অঞ্চলে যুদ্ধের উপযুক্ত ছিল না।

সে সময় চীনা হালকা ট্যাঙ্ক জ়েডটিকিউ-১৫-র মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাদের ভরসা করতে হয়েছিল আশির দশকে রাশিয়া থেকে আনা বিএমপি-২ ‘ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল্‌’ (সাঁজোয়া গাড়ি)-এর উপর।

সেই সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর লাদাখে টানাপড়েনের সময়ই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হালকা ট্যাঙ্কের আবেদন জানানো হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।

প্রাথমিক ভাবে চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে আমদানির কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান অনুসরণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ডিআরডিওকে হালকা ট্যাঙ্ক নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখনই জ়োরাবর তৈরির কাজে হাত দেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।

জোরাবর তৈরির কাজ যখন চলছে, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। টি-৯০ ট্যাঙ্ক নিয়ে ইউক্রেনের উপর হামলা চালায় রুশ সেনারা। পাল্টা তুরস্কের থেকে পাওয়া ‘বায়রাক্তার টিবি২’ ড্রোন নিয়ে ওই ট্যাঙ্কগুলোর উপর হামলা চালায় ইউক্রেন।

ড্রোন হামলা রোধ করার অক্ষমতার কারণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় রুশ বাহিনী। একের পর এক টি-৯০ ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে যায়। ভারতের হাতেও এই একই ট্যাঙ্ক রয়েছে। ফলে নতুন চিন্তা ঢোকে ভারতের মাথায়।

যদি কখনও ভারত-পাক সংঘাত শুরু হয়, তা হলে তুরস্কের থেকে ওই একই ‘বায়রাক্তার টিবি২’ ড্রোন পেতে পারে পাকিস্তান- এমন আশঙ্কা করেন ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

ভারত ঠিক করে নতুন মোড়কে তৈরি করতে হবে রুশ ট্যাঙ্ক টি-৯০। এর পরেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে টি-৯০ ট্যাঙ্ককে নতুন রূপ দিয়ে টি-৯০ এমকে-৩ তৈরি করে ভারত। নতুন এই ট্যাঙ্ক যেমন ড্রোন হামলা প্রতিরোধ করতে সক্ষম, তেমন নিজেও চলতে পারে ড্রোন সঙ্গে নিয়ে। এই ট্যাঙ্ক থেকে ড্রোন হামলাও চালানো যায়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর