প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৪, ১৬:০৬
মধ্য চীনে বাঁধ ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চীনা কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় আজ শনিবার (৬ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের ডংটিং হ্রদের তীরে একটি বাঁধের অংশ ভেঙে পড়ে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে প্রায় ছয় হাজার স্থানীয় কাছাকাছি এলাকা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বাঁধ ভেঙে কৃষিজমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং গ্রামের কিছু বাড়িও ডুবে গেছে।
দেশটির রোড মনিটরিং সেন্টার আজ শনিবার (৬ জুলাই) বলেছে, হুনানের হুয়ারং কাউন্টিতে প্রায় অর্ধমিলিয়ন মানুষের বসবাস। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেখানে সব রাস্তায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম ওয়েইবোতে একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘বন্যা প্রতিরোধে সহায়তাকারী যানবাহনগুলো ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ওই এলাকার রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না।’
প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন। জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ, প্রায় ১৫০টি যানবাহন সরিয়ে নিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নৌকা ত্রাণকাজে সহায়তা করার জন্য পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার হুনান এবং অন্যান্য দুর্যোগকবলিত এলাকার ত্রাণ তহবিলের জন্য অতিরিক্ত ৫৪০ মিলিয়ন ইউয়ান (২৪ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে বলে অর্থ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিসিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে আবহাওয়া এমন রূপ ধারণ করেছে।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনুসারে, বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে এই সপ্তাহে পূর্ব চীনে প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হুনান গত মাসে মারাত্মক পাহাড়ি বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশে বন্যায় ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার পূর্ব শানডং প্রদেশে টর্নেডোতে মৃতের সংখ্যা এক থেকে বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন: