প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫
দিন যত গড়াচ্ছে ততই জো বাইডেনকে নিয়ে আলোচনা-সামালোচনা বাড়ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠছে তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে।
বলা হচ্ছে, তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য যোগ্য নন। খোদ শীর্ষ ডেমোক্র্যাটরাও এই প্রশ্ন তুলছেন। তাছাড়া বেশ কিছু ডোনারও বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন জো বাইডেন। বলেছেন, একমাত্র ইশ্বরই তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করতে পারেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন মানসিক দক্ষতার বিষয়ে পরীক্ষা করানো ও তার ফলাফল প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বলছেন, প্রত্যেক দিনই আমি মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা দিচ্ছি। প্রতিদিন আমি যা করছি সেটাই পরীক্ষা।
টেলিভিশন বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বাইডেন। দাবি ওঠে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের। কিন্তু বাইডেন তার সিদ্ধান্তে বরাবরের মতোই অটল। এমনকি ডেমোক্র্যাটদের দাবির মুখেও তিনি নিজের অবস্থানে স্থির রয়েছেন।
প্রায় পুরো সাক্ষাৎকারজুড়েই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনকে শারীরিক ও মানসিক দক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
কিন্তু মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি মনে করি না যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আমার চেয়ে অন্য কেউ বেশি যোগ্য। টেলিভিশন বিতর্কে খারাপ পারফম্যান্সের জন্য তিনি ভ্রমণ ক্লান্তি ও ঠান্ডা লাগার কথা উল্লেখ করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভার্জিনিয়ায় একটি দলীয় প্রচারণা অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, গত সপ্তাহে বিতর্কের মঞ্চে তিনি ‘প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন’। বিতর্কের কিছুদিন আগে পরপর কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করার ক্লান্তি জেঁকে বসেছিল তার শরীরে। এ জন্যই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি তিনি।
গত মাসে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফ্রান্স ও ইতালি সফরে গিয়েছিলেন তিনি। ইতালিতে জি৭ সম্মেলনে যোগদান শেষে গত ১৫ জুন সরাসরি যান লস অ্যাঞ্জেলসে। সেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাইডেন। ওইদিনই ওয়াশিংটনে ফেরেন তিনি।
তবে ২৭ জুন বিতর্কের আগে বাইডেন টানা ছয়দিন ক্যাম্প ডেভিডে ছিলেন এবং ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন: