প্রকাশিত:
২ জুলাই ২০২৪, ১৫:৪৫
দক্ষিণ গাজায় শুরু হয়েছে রকেট আক্রমণ। তার আগে রাফাহ এবং খান ইউনুস ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইসরায়েলের সেনা। এত দিন দক্ষিণ গাজাতেই আশ্রয় নিচ্ছিলেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। উত্তর এবং মধ্য গাজা থেকে তারা দক্ষিণ গাজায় এসেছিলেন কারণ, ওই দুই জায়গা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল।
দক্ষিণ গাজায় মিসরের সীমান্তের কাছে রাফাহয় বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই রাফাহর পথ দিয়েই গাজায় ঢুকছে আন্তর্জাতিক সাহায্য। এবার সেই রাফাহই খালি করার নির্দেশ দিলো ইসরায়েল। এর অর্থ, লাখ লাখ মানুষকে নতুন করে আশ্রয় শিবির খুঁজতে হবে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফাহ এবং খান ইউনুসে রকেট আক্রমণ শুরু হয়েছে। আপাতত এই আক্রমণ চলবে। সে কারণেই সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য় গাজার সব চেয়ে বড় হাসপাতালের প্রধান।
আল শিফা হাসপাতালের প্রধান ডক্টর মোহাম্মেদ আবু সালমিয়াকে সাত মাস আগে আটক করেছিল ইসরায়েল। এতদিন তাকে কোনো চার্জ ছাড়াই আটক করে রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও করা হয়নি। বস্তুত, গাজার এই আল শিফা হাসপাতালটির ভিতরে ঢুকে অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েল।
তাদের অভিযোগ ছিল, এই হাসপাতালের ভিতর এবং নিচে হামাস সদস্য়দের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সে সময়েই সালমিয়াকে আটক করা হয়েছিল। সোমবার (১ জলাই) বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল, তার মধ্যে মোহাম্মেদ আবু সালমিয়া অন্য়তম।
এদিকে রাফাহ এবং খান ইউনুস খালি করার নির্দেশ ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক বলেছেন, ‘আরো একবার প্রমাণিত হলো যে গাজায় কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্য়বস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ অন্তত ১০ লাখ মানুষ দক্ষিণ গাজায় মিসর সীমান্তে আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছেন। নতুন করে কোথায় গিয়ে তারা আশ্রয় নেবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলের গাজা অভিযান ঘিরে এখনো পর্যন্ত কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। তার মধ্যে বহু নারী এবং শিশু আছে।
মন্তব্য করুন: