প্রকাশিত:
৩০ জুন ২০২৪, ১৩:২৩
রোহিত শর্মাকে বাদ দিয়ে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্ব হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে দেয়ার পর থেকে ঘটনার সূত্রপাত। একের পর এক ম্যাচ হারার দায় অধিনায়ক হিসেবে হার্দিকের কাঁধে পড়ছিল। মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় গত ছয়মাস তার জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। নিজ দেশের দর্শকদের দুয়োর শিকার হন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা নিয়েও চলে সমালোচনা। পাহাড়সম চাপ সামলে বিশ্বকাপের ফাইনালে বল হাতে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। প্রায় হারতে বসা ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে হার্দিক এখন ভারতের শিরোপা জয়ের অন্যতম চরিত্র।
ম্যাচ শেষে কথা বলতে গিয়ে ছয় মাস পেছনে ফিরে গেলেন এই অলরাউন্ডার। হার্দিক জানালেন, জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসেবেই বেছে নিয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চকে। গত ছয় মাস ধরে এই দিনটির অপেক্ষাই করছিলেন তিনি। কথা বলতে গিয়ে হার্দিক বলেন, ‘খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। অনেক পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সাফল্য পাচ্ছিলাম না। আমার কাছে এটি তাই বিশেষ মুহূর্ত।’
হার্দিক আরও বলেন, ‘সবাই জানে গত ছয়টা মাস আমার জন্য কেমন ছিল। ব্যাপারগুলো ভীষণ অন্যায় ছিল। আমি একটা কথাও বলিনি। জানতাম, যদি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি তবে আমি আলো ছড়াতে এবং আমার কাজটা করতে পারব। এই ধরনের সুযোগ পাওয়া অর্জনকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।’
ফাইনালে কঠিন এক দায়িত্বই দেওয়া হয়েছিল হার্দিককে। শেষ ওভারে ১৬ রান ডিফেন্ড করতে হতো তাকে। প্রথম বলেই ডেভিড মিলার প্রায় ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছিলেন, যদিও দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ অবধি ৭ রানে জিতেছে ভারত।
বিশ্বকাপ জেতার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ভারত জাতীয় দলের হয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং অধ্যায়। কোচ প্রসঙ্গ উঠতেই হাসিমুখে হার্দিকের ভাষ্য, ‘দ্রাবিড় খুব ভালো মানুষ। তার জন্য খুব আনন্দ হচ্ছে। তার অধীনে খুব ভালো সময় কেটেছে। তাকে যে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বিদায় দিতে পারছি, তাতে আমরা সবাই খুব খুশি। আমাদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছিল।’
আসর জুড়ে ব্যাট হাতে ১৪৪ রানের পাশাপাশি বল হাতেও ১১ উইকেট নিয়েছেন হার্দিক। এর মধ্যে ফাইনালে ২০ রানের বিনিময়ে দখল করেছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
মন্তব্য করুন: