শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
  • বায়ুদূষণে আজ তৃতীয় ঢাকা, বেশি দূষণ যেসব এলাকায়
  • পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে
  • দেশকে কোনও দলের কাছে ইজারা দেয়া হয়নি
  • সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু
  • ড. ইউনূস আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন আজ
  • ২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর
  • পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রায় ঘোষণা চলছে
  • ৬ কমিশনের প্রধানদের নিয়ে হবে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’

ইইউ সদস্য হওয়ার পথে আরো এগোলো ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২৪, ১৬:৪৪

ইইউ সদস্য হওয়ার পথে ইউক্রেনের সঙ্গে ব্রাসেলসের আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মাঝেই কিছু সংস্কার শুরু করে ২০৩০ সালের আগেই সব পূর্বশর্ত পূরণ করতে চায় দেশটি।

প্রায় আড়াই বছর ধরে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করে চলেছে ইউক্রেন। সে দেশের সরকার যুদ্ধ-পরবর্তী ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে আগে থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে চলেছে।

সামরিক জোট ন্যাটোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যও হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে ইউক্রেন। নিজস্ব ভূখণ্ডের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ার দখলে থাকায় এখনই ন্যাটো সদস্য হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে ইইউ সদস্য হওয়ার পথে যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে সে দেশ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার হামলা শুরুর পরেই ইউক্রেন ইইউ-তে যোগদানের আবেদন করেছিল।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইইউ কমিশন ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করলো। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিন দেশ লাটভিয়া, লিথুয়েনিয়া ও এস্টোনিয়া আগেই ইইউ-তে যোগ দিয়েছে। এবার আরো দুটি দেশের সেই আবেদনের ভিত্তিতে জটিল প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জর্জিয়াও প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিগাল বলেন, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে চলেছে।

প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ ও সব ইউরোপীয় দেশের সাধারণ বাসার পথ থেকে ইউক্রেন কখনো বিচ্যুত হবে না। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এই সিদ্ধান্তকে ইউক্রেন, মলদোভা ও ইইউ-র মানুষের জন্য অত্যন্ত ভালো খবর হিসেবে বর্ণনা করেন। তার মতে, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সেই প্রক্রিয়া সুযোগে ভরা।

আবেদন থেকে শুরু করে ইইউ-তে যোগদানের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর প্রক্রিয়া যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এগোলেও মূল আলোচনা বহু বছর ধরে চলবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ইইউ-এর মানদণ্ডের দিকে এগোতে ইউক্রেনকে এখনো অনেক সংস্কার চালাতে হবে। কঠিন সেই প্রক্রিয়ার সাফল্যের ওপর পূর্ণ সদস্যপদ নির্ভর করবে। এ ছাড়া হাঙ্গেরির মতো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সরকার ইউক্রেনের সদস্যপদের বিরোধিতা করে যেতে পারে। তবে যুদ্ধের মাঝেও ইউক্রেন বেশ কিছু সাহসী সংস্কার শুরু করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ইউক্রেনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশনা ২০৩০ সালের মধ্যে সব পূর্বশর্ত পূরণ করে ইইউ সদস্য হওয়ার অঙ্গীকার করেন। তার আশা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের শেষে ২০২৫ সালেই সদস্য হওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে ৩৫টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।

বেশ কিছু বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নতুন সদস্য গ্রহণ করার প্রক্রিয়া কার্যত থেকে থাকলেও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে বলকান অঞ্চলের পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। ফলে সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, আলবেনিয়া ও উত্তর ম্যাসিডোনিয়াও কোনো এক সময়ে পূর্ণ সদস্য হয়ে উঠবে বলে আশা দেখা দিচ্ছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর