প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০২৪, ১৫:৪৮
বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমের টানে চীন থেকে নাটোর এসে এক তরুণী বিয়ে করেছেন লি সি জাং নামে এক তরুণ। আজ রবিবার (২৩ জুন) নাটোর আদালতে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফাতেমা নামে এক তরুণীর সঙ্গে ওই তরুণের বিয়ে সম্পন্ন হয়। জজকোর্টের আইনজীবী এড. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফাতেমা নাটোরের বড়বাড়িয়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।
তিনি নবাব সিরাজ উদ দৌলা কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ছয় মাস আগে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফাতেমার সঙ্গে পরিচয় হয় চীনের সাংহাইয়ের বাসিন্দা লি সি জাংয়ের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর গত বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামে চীন থেকে ফাতেমার বাড়িতে আসেন লি সি জাং। পরদিন বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তাদের বিয়ে হয়। আজ আইনিভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এদিকে লি সি জাং বৌদ্ধ ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়ে নিজের নতুন নাম দেন আলী।
ইসলাম ধর্ম মোতাবেক বিয়ে করেন তিনি। ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পেরে খুশি আলী। আর ফাতেমা তার স্বামীর সঙ্গে যেতে চান চীনে।
নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে লি সি জাং ওরফে আলী বলেন, আমি খুশি আমার ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে। আশা করি, আমার ভালোবাসার মানুষ সারাজীবন আমার পাশে থাকবে।
আর ফাতেমা বলেন, এমন মানুষ পেয়ে আমি ভাগ্যবান। আমার জন্য দেশ-ধর্ম পরিবর্তন করেছে। জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া আমার। শিগগির স্বামীর সঙ্গে চীন যাব।
ফাতেমার বাবা আবু তাহের বলেন, আমার মেয়ে বিদেশি পুরুষকে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করায় স্থানীয়ভাবে বিয়ের প্রস্তাব আসলেও রাজি হইনি। নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করতে চেয়েছে। তাই গত বৃহস্পতিবার ধর্মীয় বিধান অনুসারে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। এরপর আজ আইনিভাবে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আইনজীবী এড. নজরুল ইসলাম বলেন, নোাটারি পাবলিক করে এফিডেভিটের মাধ্যমে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এখন থেকে আইনগতভাবে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে পারবেন।
মেয়ের চাচা আবুল হাসেম বলেন, তারা এই বিয়েতে খুশি। এ উপলক্ষে এলাকাবাসী ও স্বজনদের জন্য ভুরিভোজের আয়োাজন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু জানান, বিদেশ থেকে অনেকে এসে বাংলাদেশে বিয়ে করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটলেও এই প্রথম এক চীনা ব্যক্তি ভালোবাসার টানে নাটোরের এই প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে এসেছেন। তাদের জীবন সুখের হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন: