বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শেখ হাসিনা-জয়-রেহানার ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
  • দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারা ঘটাচ্ছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত, ৯০ দিনে ধর্ষণের বিচার করতে হবে
  • পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে
  • ঈদযাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রীবহন করলে কঠোর ব্যবস্থা
  • প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ
  • হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও সকল সহযোগীর বিচার হবে
  • ইসির অধীনে এনআইডি সেবা না রাখার প্রস্তাব
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন, যে জবাব দিলেন ড. ইউনূস

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের জেরে বন্ধু হারাবে ভারত?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২৪, ১৭:০৩

রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব কি দিনে দিনে ‘ভারী’ হয়ে উঠছে ভারতের কাছে? বিশ্ব কূটনৈতিক তথা বাণিজ্য বাজারে ভারত কি ভবিষ্যতে কোণঠাসা হয়ে যাবে? বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমনই সব সম্ভাবনার প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।

কেন আচমকা বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে ভারতের অবস্থা খারাপ হবে? বিশ্বে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে ভারত খুবই ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে এসেছে। বিশ্বের প্রায় সব শক্তিশালী দেশের সঙ্গেই ভারতের ভাল সম্পর্ক। 

জি-৭ গোষ্ঠীর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায় ভারত। সম্প্রতি ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে এক ফ্রেমে ধরা দিয়েছেন তিনি। এমনকি, কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎও সেরেছেন মোদী। সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।

তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার পর বিশ্বের প্রায় সব শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনেতাদের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন মোদী। তাদের মধ্যে অনেকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে যখন ভারতের ‘গুণগান’ করা হয়, তখন কী এমন পরিস্থিতি হল, যা ভবিষ্যতে নয়াদিল্লিকে সমস্যায় ফেলতে পারে? কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বই বিপদে ফেলতে পারে ভারতকে!

সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, এবার ভারতের কয়েকটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে জাপান। যার ফলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে ভারতের।

জাপান এবং ভারতের সম্পর্ক আগাগোড়াই ভাল। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয়দের সাহায্য করার ব্যাপারে যে সব বিদেশি শক্তি এগিয়ে এসেছিল, তাদের মধ্যে জাপান অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। স্বাধীনতার পরেও ভারতকে নানা ভাবে নানা ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জাপান। ভারতীয় বাজারে বহু জাপানি সংস্থা সফল ভাবে ব্যবসা করছে। জাপানেও অনেক ভারতীয় সংস্থা ব্যবসা চালাচ্ছে।সেই সব সংস্থাগুলির মধ্যে কয়েকটির উপর এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে জাপান সরকার। কিন্তু কেন?

শোনা যাচ্ছে, রাশিয়ার প্রশাসন এবং রাশিয়ান সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন সংস্থার উপরই নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে আসতে পারে। সেই ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে রাশিয়া। দু’বছর অতিক্রান্ত, তবু যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। অনেক রাষ্ট্রনেতাই যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন, কিন্তু রফাসূত্র এখনও অধরা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কিছু শর্ত মানতে হবে। সেই শর্তের মধ্যে অন্যতম হল, ইউক্রেনকে নেটো সদস্য হওয়ার স্বপ্ন বর্জন করতে হবে।

এ ব্যাপারে যদিও ইউক্রেন কোনও মন্তব্য করেনি। এ দিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই রাশিয়াকে ‘একঘরে’ করে দিয়েছে আমেরিকাসহ ইউরোপের দেশগুলি। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক ভাল। তবে রাশিয়া ইস্যুতে তাদের বিপরীত পথেই হেঁটেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা করলেও নয়াদিল্লিকে সে ভাবে মস্কোর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শোনা যায়নি।

রাশিয়ার উপর কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি ভারত। এমনকি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শান্তি বৈঠকে ভারত যোগ দিলেও যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি। অনেকেই মনে করছেন, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

দেশের ৬০ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামের জন্য রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীল ভারত। রাশিয়া বেঁকে বসলে বিপদে পড়তে পারে ভারত। শুধু সামরিক সরঞ্জাম নয়, তেল, সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত। এমন অবস্থায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়া ভারতের পক্ষে কঠিন বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে জাপান সব সময়ই রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করেছে। জারি করেছে নিষেধাজ্ঞাও। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, শুধু রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্ষান্ত থাকবে না জাপান। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশের বিভিন্ন সংস্থার দিকে নজর ঘুরিয়েছে জাপান প্রশাসন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর