শনিবার, ৩১শে মে ২০২৫, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শুরু হচ্ছে নতুন স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ, কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড?
  • নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ পুকুরে
  • ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ম্যানিটোবায় জরুরি অবস্থা জারি
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের বিকল্প গন্তব্য
  • ভারতের দাসত্ব করবে না বাংলাদেশ, প্রয়োজন হলে জীবন দেবো
  • জেনে নিন মাথায় নতুন চুল গজানোর দুর্দান্ত উপায়
  • ইশরাকের শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
  • দুর্ভোগ চরমে মাত্র তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ২৬ হাজার গ্রাহক
  • নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
  • এটিএম আজহারের খালাস উদযাপন করায় এনসিপিকে বর্জনের ঘোষণা

ডিবির তৎপরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে: এমপিকন্যা ডরিন

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২৪, ১৩:৪২

দিন দিন ডিবির তৎপরতা কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডিবির তৎপরতা কমে গেছে। কেন কমে যাচ্ছে? আমার হারানোর কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার রথুনাথপুর বাজারে রাখালগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

এ সময় এমপি কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুর আলম আশরাফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, রাখালগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, আমার বাবার হত্যার সঙ্গে জড়িত তারা অনেকেই ধরা পড়েছে। ধীরে ধীরে তদন্ত সাপেক্ষে অনেকেরই নাম আসছে। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তারা বেরিয়ে আসবে। ইতোমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের গ্যাস বাবুকে ডিবি তাকে নিয়ে গিয়েছে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচাকেও ডিবি নিয়ে গিয়েছে। এখন অনেক রকম কথা শুনছি আবার অনেক রকম চাপও নাকি আসছে।

তিনি বলেন, যারা এই জঘন্য কাজটি করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। কাউকে ফাঁসানো হচ্ছে না। এই গ্যাস বাবু কার অনুসারী? কার সঙ্গে থাকে? গ্যাস বাবু আমার বাবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন না। তাহলে কেন সে এই হত্যায় অর্থের যোগান এবং ভাঙ্গায় বসে মিটিং করেছেন। একজন মানুষ যখন ক্রাইম করে তখন সে নিজে করে না। সে কাউকে দিয়ে করায়। আমিও বিশ্বাস করি এই গ্যাস বাবু তৃতীয় বা চতুর্থ পক্ষ হয়ে কাজ করেছে।

ডরিন বলেন, হত্যার সঙ্গে গ্যাস বাবুর কিসের সংশ্লিষ্টতা। কেন সে এগুলো করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বড় নেতা। তাকে কারাগার থেকে ছাড়ানোর জন্য চাপ আসছে। তারা জঘন্যভাবে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। তারা ভাঙ্গায় বসে ছবি আদান-প্রদান করে আবার কালীগঞ্জ এসে আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে যায়। আমাকে এতিম করে দিয়ে আবার বলে আমি এতিমের সঙ্গে আছি। এই ধরনের অভিনয় করে গেল আমার সঙ্গে। আমার বাবাকে এর আগে তিনবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে অনেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জীবনে প্রথম বাবাকে ছাড়া ঈদ করেছি। বুকের মধ্যে অনেক কষ্ট হয়। যার বাবা যায় সেই বোঝে। জীবনে সব মেনে নেওয়া যায়, বাবা হারানোর শোক মেনে নেওয়া যায় না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর