প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৪, ১২:১৮
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। আশির দশকে সীমান্তে কড়াকড়ি ছিল কম। খুব সহজেই ভারত থেকে চোরাই পণ্য আনা যেত। সহজলভ্য হওয়ায় ছাত্রজীবন থেকেই ভারত থেকে চোরাইপথে ভিসিআর এনে খুলনাঞ্চলে বিক্রি করতেন। সে সময় আনারের ভিসিআর ব্যবসা ছিল রমরমা।
এরপর ভারতীয় শাড়ি ও ফেনসিডিল চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত হন। ধীরে ধীরে চোরাকারবারিদের সঙ্গে ‘মজবুত যোগাযোগের’ ফলে আনার যুক্ত হন সোনা চোরাচালানে। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। হয়ে যান এ লাইনের গডফাদার। শেষ দিকে তার এলাকার সীমান্ত ব্যবহার করে কেউ চোরাচালান করলেও দিতে হতো ‘ব্যক্তিগত ট্যাক্স’। খুব কম সময়ে প্রভাবশালী বনে যাওয়া আনার চোরচালানের টাকা দিয়ে বাগিয়ে নেন স্থানীয় রাজনৈতিক পদ-পদবি, পরবর্তীসময়ে হন সংসদ সদস্য।
একাধিক সংস্থার প্রতিবেদন ও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
আনারের বেড়ে ওঠা ও উত্থান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের জন্ম ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে। ১০ বছর বয়স থেকে তিনি দুরন্ত ফুটবলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর দীর্ঘ সময় কেটেছে ফুটবলের সঙ্গে। ১৯৮৪ সালে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে এইচএসসি এবং ১৯৯২ সালে ঝিনাইদহ সরকারি মাহতাবউদ্দিন কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেন।
একাধিক সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে আনার ধীরে ধীরে ঝিনাইদহ অঞ্চলে সোনা চোরাচালানের বড় নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। সীমান্ত দিয়ে অন্য যেসব সিন্ডিকেট সোনা চোরাচালান করতো তাদের সঙ্গে বিরোধ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সেই বিরোধের জেরেই আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগ পর্যন্ত আনারের বিরুদ্ধে চোরাচালান ও চোরাচালান কেন্দ্র করে খুনের ঘটনায় অনেকগুলো মামলা ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কিছু মামলা থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় অব্যাহতি পান। বাকি মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি বা খালাস পান তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সোনা চোরাচালান চক্রের পাশাপাশি এ অঞ্চলে মাদক চোরাচালানে শক্ত দখল থাকায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন আনোয়ারুল আজীম। আনার খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও অন্ধকার জগতের। খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আনারের বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন। তিনি নিজেও সোনা পাচারকারী একটি চক্রের প্রধান। আর খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন পেশাদার সন্ত্রাসী খুলনার শীর্ষ চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া।
স্থানীয়রা জানান, আনার আশির দশকের দিকে ভারত থেকে চোরাইপথে ভিসিআর এনে ব্যবসা শুরু করেন। ভিসিআরের ব্যবসা ধীরে ধীরে কমে যাওয়ায় ফেনসিডিল কারবারের সঙ্গে যুক্ত হন। অপরাধ জগতের সঙ্গে আজীমের যোগাযোগ অনেক পুরোনো। আশির দশকের মাঝামাঝিই তিনি নিজ জেলা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালানে যুক্ত হন।
সোনার বার চোরাচালানে ‘আনার ট্যাক্স’
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সোনা চোরাচালান চক্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন এমপি আনার। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এতটাই লোভী হয়ে পড়েছিলেন যে, তার এলাকা দিয়ে চোরাচালান হওয়া প্রতিটি স্বর্ণের বারের জন্য ব্যক্তিগত ট্যাক্স নেওয়া শুরু করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার এ সিদ্ধান্ত চোরাচালান চক্রের অন্য সদস্যদের ক্ষুব্ধ করে এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে ধারণা।
স্থানীয় পুলিশ, বিজিবি ও অন্য সূত্রগুলো বলছে, মহেশপুরের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত ৫৭ কিলোমিটারের। এর মধ্যে ১১ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতারবিহীন। এই সীমান্ত দিয়ে চোলাচালান হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এক্ষেত্রে পথ বা রুট হিসেবে কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও জীবননগরকে ব্যবহার করা হয়। আর কালীগঞ্জ উপজেলাটি চোরাচালানকারিদের জন্য যাতায়াতের অন্যতম পথ।
হত্যাসহ ২১টির বেশি মামলা
এলাকাবাসী বলছে, একসময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের নিয়ন্ত্রণ করতেন আনার। অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচারের হোতা হিসেবেও পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি পান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ও চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ২১টির বেশি মামলা ছিল।
গত ৮ জুন কলকাতাভিত্তিক সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে সেখানকার তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আনোয়ারুল আজীম আনার সীমান্তে সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি টাকা পাচার চক্রেরও প্রধান ছিলেন। এছাড়া আনোয়ারুল খুনে সন্দেহভাজন আক্তারুজ্জামানও সোনা পাচারে যুক্ত।
যেভাবে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে
১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতা আবদুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আনোয়ারুল আজীম। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হলে আনার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে আবদুল মান্নান বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে আনারও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আবদুল মান্নান ও আনার দুজনই কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে আনার ভারতে চলে যান এবং সেখানে অবস্থানকালেই ২০০৪ সালে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আবদুল মান্নান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০৯ সালে আনার আওয়ামী লীগের সমর্থনে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১০ পরবর্তীসময়ে আবদুল মান্নানের সঙ্গে তুমুল বিরোধ সৃষ্টি হয় আনারের। এরপর ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আনারকে গ্রেফতারে গণবিজ্ঞপ্তি জারি
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালে চুয়াডাঙ্গার লোকনাথপুর এলাকা থেকে ১২ কেজি ৯৫০ গ্রাম সোনা আটক করে তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর। চোরাকারবারিরা নিশ্চিত হন, দর্শনার শ্যামপুরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সোনাগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন। ওই ঘটনায় টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন সাইফুল।
তিনি নিজেও সোনা চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটে যুক্ত ছিলেন। ওই হত্যা মামলায় আনারসহ আসামি করা হয় ২৫ জনকে। কুষ্টিয়ার চরমপন্থি নেতা মুকুল, শাহীন রুমী, ঝিনাইদহের চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুর, আনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিতোষ, আনারসহ বেশ কয়েকজন মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এ মামলায় আনারকে গ্রেফতারে ২০০৯ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন চুয়াডাঙ্গার বিশেষ আদালত।
এর দশদিন পর ওই বছরের ২১ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতারের জন্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এছাড়া ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আনোয়ারুল আজীমের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা হয়। এর মধ্যে আছে তিনটি হত্যা, তিনটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা, ১০টি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা। ২০০৮ সালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় তার নাম ওঠে।
২০০৮ সালে ভোটে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। পরের বছর ২০০৯ সালে আনার কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় ইন্টারপোলের তালিকা থেকে তার নাম প্রত্যাহার হয়।
আনারের অপরাধ ‘ওপেন সিক্রেট’, ভয়ে মুখ খুলতো না কেউ
এমপি আনারের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তার এলাকায় ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করেনি কেউ। কারণ, কিছু হলেই আনারের ভাড়াটে বাহিনীর নির্যাতন, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়েছে। আনার হত্যাকাণ্ডের পর এখন অনেকেই সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক ডজন মানুষ তার নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মামলা দূরের কথা, কেউ ভয়ে টুঁ শব্দ পর্যন্ত করেনি। জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তিনি একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেন।
স্থানীয় একটি ওয়ার্ড ইউনিট যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামকে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর তার নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে।
নিহত আরিফুলের ছেলে তাহসিনুর রহমান বলেন, অস্ত্র নিয়ে ছয়-সাতজন লোক আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমাদের চোখের সামনেই বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তারা আনারের হয়ে কাজ করতেন। এমপি আনারের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আমার বাবা। এজন্য তাকে হত্যা করা হয়।
২০২৩ সালের ৮ জুলাই কালীগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় মাদকসেবীদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয় মেহেদী হাসানকে।
এ ঘটনায় আকরাম ও সাদ্দাম নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্রের অভিযোগ, আনারের লোক হওয়ায় তারা জামিন পেয়ে যান।
মেহেদী হত্যার বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও তার পরিবারকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, মেহেদী নিহত হওয়ার পরই তার পরিবার ভয়ে ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যা বলা হয়
জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, পরপর দুবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে দলাদলিসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আধিপত্য বিস্তারে পেশিশক্তি ব্যবহার করেন আনার। এ কাজে তিনি তার পরিবারের সদস্যসহ বিরোধীদলীয় এবং বিতর্কিত নেতাকর্মী ব্যবহার করেন।
তিনি একক আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে স্থান দিয়ে দলে ভিড়িয়েছেন। দলের ত্যাগী ও একনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা কমিটি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এমপির সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীর কোন্দল ও বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
এমপি আজীমের ছত্রছায়ায় উপজেলায় টেন্ডারবাজিসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আধিপত্য বিস্তার করছেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানী এবং তার ভাই পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু। তাদের বাবা প্রয়াত মোমিন মৌলভী ছিলেন চিহ্নিত রাজাকার। শিবলী ও তার ভাই কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির নেতা ছিলেন। ২০০৮ সালে আনারের নেতৃত্বে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
যা বলছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা
এমপি আনারের সার্বিক বিষয়ে জানতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা সবাই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আনার শুরুতে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। একসময় আনার প্রায় ৪-৫ বছরের মতো ভারতে পালিয়ে ছিলেন। তবে মাঝে মধ্যে লুকিয়ে দেশে আসতেন। ভারতেও তার সম্পদের খোঁজ করলে পাওয়া যেতে পারে।
তারা আরও জানান, আনার এমপি হওয়ার আগ থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমপি হয়ে এসব ব্যবসা একচেটিয়াভাবে করেছেন। কেউ ভয়ে মুখ খোলেনি।
মন্তব্য করুন: