প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২৪, ১৭:১১
ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) এই আদেশ দেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার।
পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লায়লা আক্তার ফারহাদ (৪৮) নামের এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) মামুনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে মামুনের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় গত রোববার (৯ জুন) একটি মামলা করেন লায়লা।
মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন, বিবাদী প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মামুন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, লায়লাকে মামুন জানান তাঁর ঢাকায় থাকার মতো নিজের কোনো বাসা নেই। প্রেমের সম্পর্ক এবং বিয়ের কথা বলায় সরল বিশ্বাসে মামুনকে নিজের বাসায় থাকতে দেন লায়লা।
এজাহারে আরও লায়লা বলেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লায়লার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
লায়লার অভিযোগ, একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললেও মামুন বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে লায়লা বিয়ের কথা বললে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। মামুনের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরাও তাঁকে গালিগালাজ করেন।
মন্তব্য করুন: