প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২৪, ১২:৩৩
গাজায় সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ নেই। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে না এমনকি যুদ্ধবিরতির বিষয়েও কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুরা।
গাজার প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়ও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। গাজার যেসব স্থান নিরাপদ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সেখানেও হামলা চালানো হচ্ছে। ফলে ফিলিস্তিরা কোথায় যাবে কি করবে তা নিয়ে বড় ধরনের এক সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২২১ জন।
এদিকে মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, তারা আশা করছে যে হামাস সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য চাপ অব্যাহত রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
প্রায় আট মাস ধরে চলা সংঘাতে গাজায় ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৫৩০ জন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে গাজার এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলা ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আল-আকসা হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকে দেইর এল-বালাহ শহরের পূর্ব অংশে যেতে দেখা গেছে। ওই অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ওই স্কুলটি পরিচালনা করতো জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। হামলার সময় স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, স্কুলটিতে হামাস যোদ্ধারাও আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন: