শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
  • ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
  • পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নবঞ্চিত সীমান্ত কন্যা
  • আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
  • পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি আজ
  • ঢাকার বাণিজ্য-প্রতিকূল আচরণে ভারতের উদ্বেগ, তবে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এড়ানোর ইঙ্গিত
  • মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাজশাহীতে বখাটেদের হামলায় খুন হলেন বাবা
  • বৈঠকে বসছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল
  • মুজিবনগর সরকার আমাদের জন্য বীরত্বগাথা অধ্যায়
  • পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেয়া হবে না

ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে জুডিশিয়ারি রুপকল্প গ্রহণ করতে হবে - বিচারপতি ওবায়দুল হাসান 

মেহেদী হাসান আকন্দ,নেত্রকোণা

প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০২৩, ১১:৫৪

প্রতি ৯০ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক রয়েছে। দেশের মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে জুডিশিয়ারি রুপকল্প গ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোণা আদালত প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ কথা বলেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশে ১৮ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ২ হাজার বিচারক রয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি ৯০ হাজারে মাত্র একজন বিচারক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা আমাদের ঠিক ডাবল। সেখানে বিচারকের সংখ্যা ৮৬ হাজারেরও বেশি। 
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমাদের বিচারকগণ অনেক রাত পর্যন্ত কষ্ট করে অফিস করেন। মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। 
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে যেমন রুপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করা হয়েছে। তেমনি বিচার বিভাগের উন্নয়নে রুপকল্প গ্রহণ করতে হবে। আজ থেকে ৫০ বছর পর বিচার বিভাগ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার একটা সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা মানুষকে অনেক কষ্ট করে আদালত প্রাঙ্গনে অপেক্ষা করতে হয়। তাদের এই কষ্ট লাঘবের জন্য আদালত প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। ন্যায়কুঞ্জে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বসার আসন, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, মহিলাদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং এর ব্যবস্থা এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিচারপ্রার্থীদের জন্য প্রয়োজন অনুভব করে বিষয়টি (বিশ্রামাগার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলার পরপরই তিনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একনেকের বৈঠকে ন্যায়কুঞ্জের অনুমোদন দিয়েছেন। সারা দেশে প্রতিটি আদালত অঙ্গনেই ন্যায়কুঞ্জ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘একসময় আদালত অঙ্গনগুলোতে বটগাছ ও বড় বড় গাছ ছিল। সেখানে বিচারপ্রার্থী মানুষেরা বিশ্রাম নিতেন। এখন সেই গাছ ও বটগাছও নেই। সেখানে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হচ্ছে। 
দেশের ৬৪ জেলায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার কার্যক্রম চলছে। ‘ক’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন হবে এক হাজার বর্গফুট। আর ‘খ’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন হবে ৮০০ বর্গফুট। 
ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: শাহজাহান কবির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ইফতেখার বিন আজিজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশতাক আহাম্মদ, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. অসিত সরকার সজল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. শামসুল ইসলাম লিটন। 
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: কামাল হোসেন। 
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিশেষ অতিথি বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরসহ অন্যান্যদের নিয়ে আদালত চত্তরে  ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর